Header Ads

Header ADS

পার্ট - ৭ || সূরাঃ আল বাকারা

 





✅তোমরা তাদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে থাক, যতক্ষণ না ফিতনা খতম হয়ে যায় এবং দ্বীন কায়েম আল্লাহর জন্য হয়ে যায়। অতঃপর তারা যদি ক্ষান্ত হয়, তবে জালিমরা ছাড়া অন্য কারও প্রতি কোনও কঠোরতা নয়।

          —আল বাকারা - ১৯৩


✅পবিত্র মাসের বদলা পবিত্র মাস, আর পবিত্রতার ক্ষেত্রেও বদলার বিধান প্রযোজ্য। সুতরাং কেউ যদি তোমাদের প্রতি জুলুম করে, তবে তোমরাও তার জুলুমের বদলা নিতে পার সেই পরিমাণে, যেমন জুলুম সে তোমাদের প্রতি করেছে। আর আল্লাহকে ভয় করে চলো এবং জেনে রেখ, আল্লাহ তাদেরই সঙ্গে থাকেন, যারা নিজেদের অন্তরে আল্লাহর ভয় রাখে।

          —আল বাকারা - ১৯৪


✅আল্লাহর পথে অর্থ ব্যয় কর আর নিজেদের হাতে নিজেদেরকে ধ্বংসের মধ্যে নিক্ষেপ কর না। এবং সৎকর্ম অবলম্বন কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ সৎকর্মশীলদের ভালোবাসেন।

—আল বাকারা - ১৯৫


✅সূরা আল বাকারার ১৯৫ নম্বর আয়াতের ব্যাখ্যা অনুযায়ী,

হযরত আবূ আইয়ুব আনসারী (রাযি.) বলেন, আল্লাহ্‌ তায়ালা ইসলামকে যখন বিজয়ী করলেন, তখন আমাদের মধ্যে আলোচনা হল যে, এখন আর জিহাদের কি প্রয়োজন? এখন আমরা আপন গৃহে থেকে বিষয় সম্পতির দেখাশুনা করব। এই প্রসঙ্গেই এই আয়াতটি নাযিল হয়েছে। এখানে ধ্বংসের দ্বারা জিহাদ পরিহার করাকেই বুঝানো হয়েছে। সুতারাং জিহাদ পরিত্যাগ করা মুসলমানদের জন্য ধ্বংসের কারণ। এজন্যই হযরত আবূ আইয়ুব আনসারী (রাযি.) সারাজীবনেই জিহাদ করে শেষ পর্যন্ত ইস্তাম্বুলে শাহাদাত বরণ করে সেখানেই সমাহিত হয়েছেন। হজরত বারা ইবনে আযেব (রাযি.) বলেন, পাপের জন্য আল্লাহর রহমত ও ক্ষমা হতে নিরাশ হওয়াও ধ্বংসের নামান্তর। আল্লাহ্‌ তা’য়ালার ক্ষমা সম্পর্কে নিরাশ হওয়া হারাম।


✅আল্লাহর জন্য হজ্জ ও উমরা পূর্ণ কর। হাঁ তোমাদেরকে যদি বাধা দেওয়া হয়, তবে যে কুরবানী সম্ভব হয়, তা আল্লাহর উদ্দেশ্যে নিবেদন কর। আর নিজেদের মাথা ততক্ষণ পর্যন্ত কামিও না, যতক্ষণ না কুরবানী নিজ জায়গায় পৌঁছে যায়। হাঁ তোমাদের মধ্যে কেউ যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে বা তার মাথায় ক্লেশ দেখা দেয়, তবে সে রোযা বা সাদাকা কিংবা কুরবানীর ফিদয়া দেবে। তারপর যখন তোমরা নিরাপদ হয়ে যাবে, তখন যে ব্যক্তি হজ্জের সাথে উমরার সুবিধাও ভোগ করবে, সে আল্লাহর উদ্দেশ্যে পেশ করবে যে, কুরবানী সহজলভ্য হয়। আর কারও যদি সে সামর্থ্য না থাকে, তবে সে হজ্জের দিনে তিনটি রোযা রাখবে এবং সাতটি রোযা রাখবে সেই সময়, যখন তোমরা বাড়িতে প্রত্যাবর্তন করবে। এভাবে মোট দশটি রোযা হবে। এই বিধান সেই সব লোকের জন্য, যাদের পরিবারবর্গ মসজিদুল হারামের নিকটে বাস করে না। আর আল্লাহকে ভয় করে চলো এবং জেনে রেখ, আল্লাহর আযাব সুকঠিন।

          —আল বাকারা - ১৯৬


✅হজ্জের নির্দিষ্ট কয়েকটি মাস আছে। যে ব্যক্তি সেসব মাসে ইহরাম বেঁধে নিজের উপর হজ্জ অবধারিত করে নেয়, সে হজ্জের সময়ে কোন অশ্লীল কথা বলবে না, কোন গুনাহ করবে না এবং ঝগড়াও নয়। তোমরা যা-কিছু সৎকর্ম করবে আল্লাহ তা জানেন। আর হজ্জের সফরে পথ খরচা সাথে নিয়ে নিয়ো। বস্তুত তাকওয়াই উৎকৃষ্ট অবলম্বন। আর হে বুদ্ধিমানেরা! আল্লাহকে ভয় করে চলো।

          —আল বাকারা - ১৯৭


✅তোমরা হজ্জের সময়ে ব্যবসা বা মজুর খাটার মাধ্যমে স্বীয় প্রতিপালকের অনুগ্রহ সন্ধান করলে তাতে তোমাদের কোনও গুনাহ নেই। অতঃপর তোমরা যখন আরাফাত থেকে রওয়ানা হবে, তখন মাশআরুল হারামের নিকট যা মুযদালিফায় অবস্থিত আল্লাহর যিকির করো। আর তার যিকির তোমরা সেভাবেই করবে, যেভাবে তিনি তোমাদেরকে হিদায়াত করেছেন, আর এর আগে তো তোমরা পুরোপুরি অজ্ঞ ছিলে।

—আল বাকারা - ১৯৮


✅সূরা আল বাকারার ১৯৮ নম্বর আয়াতের ব্যাখ্যা অনুযায়ী,

ওক্কায্‌ যুল্‌ মজ্বিন্না এবং যুল মজ্বায এই তিনটি বাজারই মক্কায় ছিল। কিন্তু হজ্জ্বের সময় লোকেরা ব্যবসা বানিজ্য করা গুনাহ মনে করত বিধায়, এটা বৈধ বলে অনুমতি প্রদান পুর্বক এই আয়াতটি  অবতীর্ণ হয়।


✅তোমরা সেই স্থান থেকে দ্রুতগতিতে রওয়ানা হবে, যেখান থেকে অন্যান্য লোক রওয়ানা হয়। আর আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাও। নিশ্চয়ই আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

—আল বাকারা - ১৯৯


✅সূরা আল বাকারার ১৯৯ নম্বর আয়াতের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, আরবের অধিবাসীরা আরাফাতের ময়দানে ওকুফ করত, কিন্তু কুরাইশরা নিজেদেরকে বড় মনে করে কিছু দূরে মুজদালেফা নামক স্থানে অবস্থান করত এবং সে স্থান হতেই মক্কায় ফিরে আসত। কুরাইশদের এই অহমিকামূলক কর্ম নিষেধার্থে এই আয়াতটি অবতীর্ন হয়।

          

✅তোমরা যখন হজ্জের কার্যাবলী শেষ করবে, তখন আল্লাহকে সেইভাবে স্মরণ করবে, যেভাবে নিজেদের বাপ-দাদাকে স্মরণ করে থাক; বরং তার চেয়েও বেশি স্মরণ করবে। ১৪৮ কিছু লোক তো এমন আছে, যারা (দু‘আয় কেবল) বলে, হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে দুনিয়ার কল্যাণই দান কর, আর আখিরাতে তাদের কোনও অংশ নেই।

—আল বাকারা - ২০০


✅সূরা আল বাকারার ২০০ নম্বর আয়াতের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, 

আরবের আধিবাসীরা বর্বর যুগের ন্যায় হজ্জ্ব সমাপনের পর পাথর নিক্ষেপ করার স্থানে সমাবেত হয়ে নিজেদের বাপ-দাদার কৃতিত্ব বর্ণনা করতে থাকে, এই প্রেক্ষিতে এই আয়াত অবতীর্ণ হয়।


✅তাদের মধ্যে এমন লোকও আছে, যারা বলে, হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে দান কর দুনিয়ায়ও কল্যাণ এবং আখিরাতেও কল্যাণ এবং আমাদেরকে জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা কর। 

—আল বাকারা - ২০১


✅সূরা আল বাকারার ২০১ নম্বর আয়াতের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, আলোচ্য আয়াত গুলোতে প্রার্থনাকারীদেরকে দু'ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে।

          

✅তারা যা অর্জন করেছে তার প্রাপ্য অংশ তাদেরই। বস্তুত আল্লাহ্ হিসেব গ্রহণে অত্যন্ত তৎপর।

          —আল বাকারা - ২০২


✅যখন তোমরা মিনায় অবস্থানরত থাক, স্মরণ কর আল্লাহকে নির্দিষ্ট সংখ্যক কয়েকটি দিনে। অতঃপর যে লোক তাড়াহুড়া করে চলে যাবে শুধু দুদিনের মধ্যে, তার জন্যে কোন পাপ নেই। আর যে লোক থেকে যাবে তাঁর উপর কোন পাপ নেই, অবশ্যই যারা ভয় করে। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় করতে থাক এবং নিশ্চিত জেনে রাখ, তোমাদেরকে অবশ্যই তাঁর নিকট একত্র করা হবে।

          —আল বাকারা - ২০৩


✅মানুষের মধ্যে এমন ব্যক্তি আছে, দুনিয়ার জীবন সম্বন্ধে যার কথাবার্তা তোমাকে মুগ্ধ করে এবং তার অন্তরে যা আছে সে সম্বন্ধে আল্লাহ্কে সাক্ষী রাখে। প্রকৃতপক্ষে সে ভীষণ ঝগড়াটে লোক।

          —আল বাকারা - ২০৪


✅সেই ব্যক্তি যখন উঠে চলে যায়, যার দুনিয়ার জীবন সম্বন্ধে কথাবার্তা তোমাকে মুগ্ধ করে, তখন যমীনে তার দৌড়-ঝাপ হয় এই উদ্দেশ্যে যে, সে তাতে অশান্তি ছড়াবে এবং ফসল ও জীব-জন্তুর বংশ নিপাত করবে, অথচ আল্লাহ অশান্তি সৃষ্টি পছন্দ করেন না। 

          —আল বাকারা - ২০৫


✅যখন তাকে বলা হয় যে, আল্লাহকে ভয় করে, যার দুনিয়ার জীবন সম্বন্ধে কথাবার্তা তোমাকে মুগ্ধ করে, তখন তার পাপ তাকে অহঙ্কারে উদ্বুদ্ধ করে। সুতরাং তার জন্যে দোযখই যথেষ্ট। আর নিঃসন্দেহে তা হলো নিকৃষ্টতর ঠিকানা।

          —আল বাকারা - ২০৬


✅মানুষের মধ্যে এক শ্রেণির লোকও আছে, যে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নিজেদের প্রাণকে বিক্রি করে দেয়। আল্লাহ এরূপ বান্দাদের প্রতি অতি দয়ালু।


          —আল বাকারা - ২০৭


✅হে মুমিনগণ! ইসলামে সম্পূর্ণরূপে প্রবেশ কর এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। নিশ্চয়ই সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।

—আল বাকারা - ২০৮


✅সূরা আল বাকারার ২০৮ নম্বর আয়াতের ব্যাখ্যা অনুযায়ী,

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ছালাম, ছা'লবা ইবনে এয়ামীন, আছাদ প্রমূখ ইহুদী হতে মুসলমান হয়েছিলেন। কিন্তু পুরাতন ধারণার ভিত্তিতে রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর নিকট বলেন, আমরা ইহুদী থাকা অবস্থায় শনিবারের দিনকে সম্মান করতাম, এখন মুসলমান হওয়ার পরও আমাদেরকে শনিবার দিনকে সম্মান করার অনুমতি দিন । তখন এ আয়াত নাযিল হয়। 


✅তোমাদের কাছে যে উজ্জ্বল নিদর্শনাবলী এসেছে তারপরও যদি তোমরা সঠিক পথ থেকে পদস্খলিত হও, তবে মনে রেখ, আল্লাহ মহা ক্ষমতাবান ও প্রজ্ঞাময়। 

          —আল বাকারা - ২০৯


✅তারা কি সে দিকেই তাকিয়ে রয়েছে যে, মেঘের আড়ালে তাদের সামনে আসবেন আল্লাহ ও ফেরেশতাগণ ? আর তাতেই সব মীমাংসা হয়ে যাবে। বস্তুতঃ সবকার্যকলাপই আল্লাহর নিকট গিয়ে পৌঁছবে।

          —আল বাকারা - ২১০







✅বনী ইসরাঈলকে জিজ্ঞেস কর, তাদেরকে আমি কত সুস্পষ্ট নিদর্শন দিয়েছিলাম। যে ব্যক্তি তার নিকট আল্লাহর নিয়ামত এসে যাওয়ার পর তা পরিবর্তন করে ফেলে, (তার মনে রাখা উচিত যে,) আল্লাহর শাস্তি বড় কঠিন। 

          —আল বাকারা - ২১১


✅পৃথিবীর জীবনে কাফেরদেরকে উম্মত্ত করে দেওয়া হয়েছে। আর তারা ঈমানদারদের প্রতি লক্ষ্য করে হাসাহাসি করে। পক্ষান্তরে যারা পরহেযগার তারা সেই কাফেরদের তুলনায় কেয়ামতের দিন অত্যন্ত উচ্চমর্যাদায় থাকবে। আর আল্লাহ যাকে চান অপরিমিত রিযিক দান করেন।

—আল বাকারা - ২১২


✅সূরা আল বাকারার ২১২ নম্বর আয়াতের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, আরবের মুশরিকরা দুঃস্থ গরীব সাহাবাদের, যথা- হযরত বেলাল (রাজিঃ) এবং হযরত আম্মার ইবনে ইয়াছির প্রমুখকে দেখে বিদ্রূপ করত এবং এ বলতো যে, মুহাম্মাদ কি কেবল এ সমস্ত লোকের অনুগামিত্বেই গর্বিত? তাঁর ধর্ম সত্য হলে, ধনবানরাই তাঁর অনুগামী হত। এ গরীবদের অনুগামীত্বে তাঁর কি কাজই চলতে পারে? এই বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে অত্র আয়াতটি নাযিল হয়।

          

✅শুরুতে সমস্ত মানুষ একই দীনের অনুসারী ছিল। তারপর যখন তাদের মধ্যে মতভেদ দেখা দিল তখন আল্লাহ নবী পাঠালেন, সত্যপন্থীদের জন্য সুসংবাদদাতা ও মিথ্যাশ্রয়ীদের জন্য ভীতি প্রদর্শনকারীরূপে। আর তাদের সাথে সত্যসম্বলিত কিতাব নাযিল করলেন, যাতে তা মানুষের মধ্যে সেই সব বিষয়ে মীমাংসা করে দেয়, যা নিয়ে তাদের মধ্যে মতভেদ ছিল। আর পরিতাপের বিষয় হল অন্য কেউ নয়; বরং যাদেরকে কিতাব দেওয়া হয়েছিল, তারাই তাদের কাছে সমুজ্জ্বল নিদর্শনাবলী আসার পরও কেবল পারস্পরিক রেষারেষির কারণে তাতেই সেই কিতাবেই মতভেদ সৃষ্টি করল। অতঃপর যারা ঈমান এনেছে, আল্লাহ তাদেরকে তারা যে বিষয়ে মতভেদ করত, সে বিষয়ে নিজ ইচ্ছায় সঠিক পথে পৌঁছে দেন। আর আল্লাহ যাকে চান তাকে সরল-সঠিক পথে পৌঁছে দেন।

          —আল বাকারা - ২১৩


✅হে মুসলিমগণ! তোমরা কি মনে করেছ, তোমরা জান্নাতে এমনিতেই প্রবেশ করবে, অথচ এখনও পর্যন্ত তোমাদের উপর সেই রকম অবস্থা আসেনি, যেমনটা এসেছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের উপর। তাদেরকে স্পর্শ করেছিল অর্থ-সংকট ও দুঃখ-কষ্ট এবং তাদেরকে করা হয়েছিল প্রকম্পিত, এমনকি রাসূল এবং তাঁর ঈমানদার সঙ্গীগণ বলে উঠেছিল, আল্লাহর সাহায্য কখন আসবে? মনে রেখ, আল্লাহর সাহায্য একান্তই নিকটে।

—আল বাকারা - ২১৪


✅সূরা আল বাকারার ২১৪ নম্বর আয়াতের ব্যাখ্যা অনুযায়ী,

হযরত আতা (রাজিঃ) হতে বর্নিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) যখন মদীনায় হিজরত করলেন, তখন সাহাবাদের অনেক দুঃখ, কষ্ট, এবং অর্থ সংকট হল, মালামাল, ধন-সম্পদ ও বাগান ইত্যাদি সমস্ত কিছুই মক্কাতে মুশরিকরা করায়াত্তে নিয়েছে। আল্লাহ্‌ তা'য়ালা মুসলমানদের সান্তনা দানের এই বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে অত্র আয়াতটি নাযিল হয়। 


✅লোকে আপনাকে জিজ্ঞেস করে, আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য তারা কী ব্যয় করবে? আপনি বলে দিন, তোমরা যে সম্পদই ব্যয় কর তা পিতা-মাতা, আত্মীয়-স্বজন, ইয়াতীম, মিসকীন, মুসাফির ও অসহায়দের জন্য হওয়া চাই। আর তোমরা কল্যাণকর যে কাজই কর না কেন, আল্লাহ সে সম্পর্কে সম্পূর্ণ অবগত।

—আল বাকারা - ২১৫


✅সূরা আল বাকারার ২১৫ নম্বর আয়াতের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, হযরত আমর ইবনে জমুহ্‌ যিনি জঙ্গে ওহুদে শহীদ হয়েছেন, একদা রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর নিকট জিজ্ঞেস করলেন যে, আমরা আল্লাহ্‌র রাস্তায় কোন প্রকারের বস্তু খরচ করতে পারি? এই বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে অত্র আয়াতটি নাযিল হয়।


✅তোমাদের উপর যুদ্ধ ফরয করা হয়েছে, অথচ তা তোমাদের কাছে অপছন্দনীয়। পক্ষান্তরে তোমাদের কাছে হয়তো কোন একটা বিষয় পছন্দ নয়, অথচ তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর। আর হয়তোবা কোন একটি বিষয় তোমাদের কাছে পছন্দনীয় অথচ তোমাদের জন্যে অকল্যাণকর। বস্তুতঃ প্রকৃত বিষয় তো আল্লাহ জানেন কিন্তু তোমরা জান না। 

          —আল বাকারা - ২১৬


✅লোকে আপনাকে মর্যাদাপূর্ণ মাস সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে, তাতে যুদ্ধ করা কেমন? আপনি বলে দিন, তাতে যুদ্ধ করা মহাপাপ, কিন্তু মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে ফিরিয়ে রাখা, তার বিরুদ্ধে কুফুরী পন্থা অবলম্বন করা, মসজিদুল হারামে প্রবেশে বাধা দেওয়া এবং তার বাসিন্দাদেরকে তা থেকে বের করে দেওয়া আল্লাহর নিকট আরও বড় পাপ। আর ফিতনা তো হত্যা অপেক্ষাও গুরুতর। কাফিরগণ ক্রমাগত তোমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে থাকবে, এমনকি পারলে তারা তোমাদেরকে তোমাদের দীন থেকে ফেরাতে চেষ্টা করবে। যদি তোমাদের মধ্যে কেউ নিজ দীন পরিত্যাগ করে, তারপর কাফির অবস্থায় মারা যায়, তবে এরূপ লোকের কর্ম দুনিয়া ও আখিরাতে বৃথা যাবে। তারাই জাহান্নামী। তারা সেখানেই সর্বদা থাকবে।

—আল বাকারা - ২১৭


✅সূরা আল বাকারার ২১৭ নম্বর আয়াতের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, জুন্দুব ইবনে আবদুল্লাহ (রাজিঃ) হযরত আবদুল্লাহ ইবনে জাহাশের নেতৃত্ব্বে  একটি সেনাদল কাফেরদের মুকাবিলায় প্রেরন করেন। সাহাবারা ইবনে খজরামীকে হত্যা করেছিলেন। তখন ১লা রজব না ৩০শে জামাদিউছ্‌ছানী তাঁর কোন তত্ত্ব তাদের নিকট ছিল না। কিন্তু মুশরিকরা মুসলমানদেরকে বলল যে, তোমরা কি মাহে হারাম বা সম্মানিত মাসের প্রতিও কোন লক্ষ্য না রেখে হত্যাযজ্ঞে লিপ্ত হলে। তখন এই বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে অত্র আয়াতটি নাজিল হয়।


✅কোন সন্দেহের অবকাশ নেই যে, যারা ঈমান এনেছে এবং যারা হিজরত করেছে এবং আল্লাহর পথে লড়াই বা জেহাদ করেছে, তারা আল্লাহর রহমতের প্রত্যাশী। আর আল্লাহ হচ্ছেন ক্ষমাকারী করুনাময়।

—আল বাকারা - ২১৮


✅সূরা আল বাকারার ২১৮ নম্বর আয়াতের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, হযরত আবদুল্লাহ ইবনে জাহাশ ও তাঁর সঙ্গীদের সম্পর্কে অবতীর্ন হয়েছে। উক্ত ঘটনা সম্বন্ধে তাঁরা বলছিল যে, মাহে হারামে যুদ্ধ করার কারণে আমরা গুনাহ্‌গার সাব্যস্ত না হলেও অন্ততঃপক্ষে আমরা এ জিহাদের ছওয়াব হতে বঞ্চিত থাকব। তখন এই বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে অত্র আয়াতটি নাজিল হয়।

          

✅লোকে আপনাকে মদ ও জুয়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। আপনি বলে দিন, এই দুটোর মধ্যে মহা পাপও রয়েছে এবং মানুষের জন্য কিছু উপকারও আছে। আর এই দুটোর পাপ তার উপকার অপেক্ষা গুরুতর। লোকে আপনাকে জিজ্ঞেস করে, আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের  উদ্দেশ্যে তারা  কী  ব্যয় করবে? আপনি বলে দিন, যা তোমাদের প্রয়োজনের অতিরিক্ত। সেই টুকুই আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্য ব্যয় করবে। আল্লাহ এভাবেই তোমাদের জন্য স্বীয় বিধানাবলী সুস্পষ্টরূপে বর্ণনা করেন, যাতে তোমরা চিন্তা-ভাবনা করতে পার

—আল বাকারা - ২১৯


✅সূরা আল বাকারার ২১৯ নম্বর আয়াতের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, হযরত ওমর ইবনে খাত্তাব (রাজিঃ) মু'য়াজ  ইবনে জাবাল (রাজিঃ) এবং আনসারের এক দল লোক রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর দরবারে উপস্থিত হয়ে বললেন যে, ইয়া রাসূলুল্লাহ (সাঃ)! মদ্যপানে তো জ্ঞান লোপ পেতে থাকে এবং জুয়ার সম্পদ ধ্বংস হয়। অতএব এ সম্বন্ধে আমরা কি করব, তখনই এই বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে অত্র আয়াতটি নাজিল হয়।


✅দুনিয়া সম্পর্কেও এবং আখিরাত সম্পর্কেও লোকে আপনাকে ইয়াতীমদের সম্পর্কেও জিজ্ঞেস করে। আপনি বলে দিন যে, তাদের কল্যাণ কামনা উত্তম। তোমরা যদি তাদের সাথে মিলেমিশে থাক, তবে কোনও অসুবিধা নেই। কেননা তারা তো তোমাদের ভাই-ই বটে। আর আল্লাহ ভালো করে জানেন, কে অনর্থ সৃষ্টিকারী  আর কে সমাধানকারী। আল্লাহ চাইলে তোমাদেরকে সংকটে ফেলতে পারতেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ মহা ক্ষমতাবান, প্রজ্ঞাময়।

—আল বাকারা - ২২০


✅সূরা আল বাকারার ২২০ নম্বর আয়াতের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, এতীমের মাল খাওয়া হতে যখন কঠোর ভাবে বাধা দেওয়া হয়, তখন যারা তাদের লালন-পালন আর দেখাশুনা করত তাঁরা ভীত হল, আর এতীমদের খাওয়া-দাওয়া সমস্ত কিছুই পৃথক করে দিল। এতে অনেক অসুবিধা ও বহু অপচয় হত। তখনই এই বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে অত্র আয়াতটি নাজিল হয়।

          

✅মুশরিক নারীগণ যতক্ষণ পর্যন্ত ঈমান না আনে ততক্ষণ তাদেরকে বিয়ে করো না। নিশ্চয়ই একজন মুমিন দাসী যে-কোনও মুশরিক নারী অপেক্ষা শ্রেয়, যদিও সেই মুশরিক নারী তোমাদের মুগ্ধ করে। আর নিজেদের নারীদের বিয়ে মুশরিক পুরুষদের সাথে সম্পন্ন করো না যতক্ষণ না তারা ঈমান আনে। নিশ্চয়ই একজন মুমিন গোলাম যে-কোন মুশরিক পুরুষ অপেক্ষা শ্রেয় যদিও সেই মুশরিক পুরুষ তোমাদের মুগ্ধ করে। তারা সকলে তো জাহান্নামের দিকে ডাকে, যখন আল্লাহ নিজ হুকুমে জান্নাত ও মাগফিরাতের দিকে ডাকেন এবং তিনি স্বীয় বিধানাবলী মানুষের জন্য সুস্পষ্টরূপে বর্ণনা করেন, যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে।

          —আল বাকারা - ২২১


✅লোকে আপনার কাছে হায়য অথবা মাসিক অথবা প্রিউড সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। আপনি বলে দিন, তা অশুচি। সুতরাং হায়যের সময় অথবা মাসিকের সময় অথবা প্রিউডের সময় স্ত্রীদের থেকে পৃথক থাকবে, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা পবিত্র না হয়, ততক্ষণ তাদের কাছে যেয়ো না অর্থাৎ সহবাস করো না। হাঁ যখন তারা পবিত্র হয়ে যাবে, তখন তাদের কাছে সেই পন্থায় যাবে, যেভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ সেই সকল লোককে ভালোবাসেন, যারা তাঁর দিকে বেশি বেশি রুজ্জ করে এবং ভালোবাসেন তাদেরকে, যারা বেশি বেশি পাক-পবিত্র থাকে।

—আল বাকারা - ২২২


✅সূরা আল বাকারার ২২২ নম্বর আয়াতের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, ইহুদীরা নিজ স্ত্রীদের হতে ঋতুস্রাবকালে সম্পূর্ন পৃথক থাকত, এমনকি তাদের সাথে খাওয়া-দাওয়া, কথাবার্তা বলা এবং উঠা-বসা হতেও বিরত থাকত। আর খৃষ্টানরা ছিল বিপরীত, সে অবস্থায় তাঁরা স্ত্রী সহবাস করতে এবং সঙ্গম পর্যন্ত করত। একদা ছাবেত ইবনে দাহ্‌দাহ্‌ রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে জিজ্ঞাস করলেন, ঋতুস্রাবের সময় আমরা স্ত্রীদের সাথে কিরূপ আচরণ করব, ইসলামী নীতি অনুসারে আমাদেরকে অবহিত করুন। তখনই এই বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে অত্র আয়াতটি নাজিল হয়।


✅তোমাদের স্ত্রীরা হলো তোমাদের জন্য শস্য ক্ষেত্র। তোমরা যেভাবে ইচ্ছা তাদেরকে ব্যবহার কর। আর নিজেদের জন্য আগামী দিনের ব্যবস্থা কর এবং আল্লাহকে ভয় করতে থাক। আর নিশ্চিতভাবে জেনে রাখ যে, আল্লাহর সাথে তোমাদেরকে সাক্ষাত করতেই হবে। আর যারা ঈমান এনেছে তাদেরকে সুসংবাদ জানিয়ে দাও।

—আল বাকারা - ২২৩


✅সূরা আল বাকারার ২২৩ নম্বর আয়াতের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, ইয়াহুদীরা বলছিল যে, যদি কেউ স্বীয় স্ত্রীর সাথে এরূপ সঙ্গম করে যে, স্ত্রীর পৃষ্ঠ পুরুষের সম্মুখভাগে থাকে, তবে সন্তান বক্র চোখা জন্ম হয়। একদা হযরত ওমর (রাজিঃ) রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে এই কথা জিজ্ঞাস করলে, এই বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে অত্র আয়াতটি নাজিল হয়।


✅নিজেদের শপথের জন্য আল্লাহর নামকে লক্ষ্যবস্তু বানিও না মানুষের সাথে কোন আচার আচরণ থেকে পরহেযগারী থেকে এবং মানুষের মাঝে মীমাংসা করে দেয়া থেকে বেঁচে থাকার উদ্দেশ্যে। আল্লাহ সবকিছুই শুনেন ও জানেন।

          —আল বাকারা - ২২৪


✅তোমাদের অর্থহীন শপথের জন্যে আল্লাহ্ তোমাদেরকে দায়ী করবেন না। কিন্তু তিনি তোমাদের অন্তরের সংকল্পের জন্যে দায়ী করবেন। আল্লাহ্ ক্ষমাপরায়ণ, ধৈর্যশীল।

          —আল বাকারা - ২২৫


✅যারা নিজেদের স্ত্রীদের নিকট গমন করবেনা বলে কসম খেয়ে বসে তাদের জন্য চার মাসের অবকাশ রয়েছে অতঃপর যদি পারস্পরিক মিল-মিশ করে নেয়, তবে আল্লাহ ক্ষামাকারী দয়ালু।

          —আল বাকারা - ২২৬


✅যদি তারা তালাক দেওয়ার সংকল্প করে নেয়, তবে নিশ্চয়ই আল্লাহ শ্রবণকারী ও জ্ঞানী।

          —আল বাকারা - ২২৭


✅যে নারীদের তালাক দেওয়া হয়েছে, তারা তিন বার হায়েয বা মাসিক বা প্রিউড আসা পর্যন্ত নিজেদেরকে প্রতীক্ষায় রাখবে। আর যদি সে আল্লাহর প্রতি এবং আখেরাত দিবসের উপর ঈমানদার হয়ে থাকে, তাহলে আল্লাহ যা তার জরায়ুতে সৃষ্টি করেছেন তা লুকিয়ে রাখা জায়েজ নয়। আর যদি সদ্ভাব রেখে চলতে চায়, তাহলে তাদেরকে ফিরিয়ে নেবার অধিকার তাদের স্বামীরা সংরক্ষণ করে। আর পুরুষদের যেমন স্ত্রীদের উপর অধিকার রয়েছে, তেমনি ভাবে স্ত্রীদেরও অধিকার রয়েছে পুরুষদের উপর নিয়ম অনুযায়ী। আর নারীরদের ওপর পুরুষদের শ্রেষ্ঠত্ব রয়েছে। আর আল্লাহ হচ্ছে পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।

—আল বাকারা - ২২৮


✅সূরা আল বাকারার ২২৮ নম্বর আয়াতের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, হজরত আসমা বিনতে ইয়াযীদ (রাজিঃ) হতে বর্নিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর যুগেই আমি তালাক প্রাপ্ত হই, তখন তালাকের কোন ইদ্দত ছিল না, তখনই এই বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে অত্র আয়াতটি নাজিল হয়।


✅তালাক দুইবার। এরপর স্ত্রীকে হয় বিধিমত রেখে দিবে বা সদয়ভাবে মুক্ত করে দিবে। তোমরা তোমাদের স্ত্রীদেরকে যা প্রদান করেছ তার মধ্য হতে কোন কিছু গ্রহণ করা তোমাদের পক্ষে বৈধ নয়। অবশ্য যদি তাদের উভয়ের আশংকা হয় যে, তারা আল্লাহর সীমারেখা রক্ষা করে চলতে পারবে না এবং তোমরা  যদি  আশংকা  কর  যে,  তারা  আল্লাহর সীমারেখা  রক্ষা করে চলতে পারবে না, তবে স্ত্রী কোন কিছুর বিনিময়ে নিষ্কৃতি পেতে ইচ্ছা করলে তাতে তাদের কারও কোন অপরাধ নেই। এইসব আল্লাহর সীমারেখা। তোমরা তা লংঘন কর না। যারা এইসব সীমারেখা লংঘন করে তারাই জালিম।

—আল বাকারা - ২২৯


✅সূরা আল বাকারার ২২৯ নম্বর আয়াতের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, ইসলামের প্রথম অবস্থায় লোকেরা স্ত্রীদের অসংখ্য তালাক দিত ও তাদেরকে কষ্ট দেয়ার জন্য যখন ইদ্দত পূর্ন হয়ে আসত তখন শীঘ্রই ফিরিয়ে আনত। এভাবে স্ত্রীদের সঙ্গে না স্বামীওয়ালা স্ত্রীর ন্যায় ব্যবহার করা হত, না তাঁরা পতিহীন নারীর ন্যায় স্বাধীন হত যে, যেখানে ইচ্ছা বিবাহ করে নেবে। জনৈকা রমণী হযরত আয়েশা (রাজিঃ)-এর নিকট এ অভিযোগ করলে তিনি তা রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর গোচরীভুত করলেন। তখনই এই বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে অত্র আয়াতটি নাজিল হয়।

          


✅অতঃপর স্বামী যদি তৃতীয় তালাক দিয়ে দেয় তবে সে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী তার জন্য ততক্ষণ পর্যন্ত হালাল হবে না, যতক্ষণ না সে অন্য কোনও স্বামীকে বিবাহ করবে। অতঃপর যদি দ্বিতীয় স্বামী তাকে তালাক দিয়ে দেয়, তবে তাদের জন্য এতে কোনও গুনাহ নেই যে, তারা নতুন বিবাহের মাধ্যমে পুনরায় একে অন্যের কাছে ফিরে আসবে শর্ত হল, তাদের প্রবল ধারণা থাকতে হবে যে, এবার তারা আল্লাহর সীমা কায়েম রাখতে পারবে। এসব আল্লাহর স্থিরকৃত সীমা, যা তিনি জ্ঞানীবান লোকদের জন্য স্পষ্টরূপে বর্ণনা করেছেন।

—আল বাকারা - ২৩০


✅যখন তোমরা স্ত্রীদেরকে তালাক দিয়ে দাও, অতঃপর তারা নির্ধারিত ইদ্দত সমাপ্ত করে নেয়, তখন তোমরা নিয়ম অনুযায়ী তাদেরকে রেখে দাও অথবা সহানুভুতির সাথে তাদেরকে মুক্ত করে দাও। আর তোমরা তাদেরকে জ্বালাতন ও বাড়াবাড়ি করার উদ্দেশ্যে আটকে রেখো না। আর যারা এমন করবে, নিশ্চয়ই তারা নিজেদেরই ক্ষতি করবে। আর আল্লাহর নির্দেশকে হাস্যকর বিষয়ে পরিণত করো না। আল্লাহর সে অনুগ্রহের কথা স্মরণ কর, যা তোমাদের উপর রয়েছে এবং তাও স্মরণ কর, যে কিতাব ও জ্ঞানের কথা তোমাদের উপর নাযিল করা হয়েছে যার দ্বারা তোমাদেরকে উপদেশ দান করা হয়। আল্লাহকে ভয় কর এবং জেনে রাখ যে, আল্লাহ সর্ববিষয়েই জ্ঞানময়।

—আল বাকারা - ২৩১



No comments

Powered by Blogger.