পার্ট - ৫ || সূরাঃ আল বাকারা
যাদেরকে কিতাব দেওয়া হয়েছিল তুমি যদি তাদের কাছে সব রকমের নিদর্শনও নিয়ে আস, তবুও তারা তোমার কিবলা অনুসরণ করবে না। তুমিও তাদের কিবলা অনুসরণ করার নও, আর তাদের পরস্পরেও একে অন্যের কিবলা অনুসরণ করার নয়। ১০৪ তোমার নিকট জ্ঞান আসার পরও যদি তুমি তাদের খেয়াল-খুশীর অনুসরণ কর, তবে তখন অবশ্যই জালিমদের মধ্যে গণ্য হবে।
—আল বাকারা - ১৪৫
✅সূরা আল বাকারার ১৪৫ নম্বর আয়াতের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, ক্বা'বা শরীফকে ক্বিয়ামত পর্যন্ত মুসলমানদের ক্বিবলা নির্ধারিত করা হয়। এর মাধ্যমে ইয়াহুদী নাসারাদের এই বক্তব্যকে খণ্ডন করা হয়েছে যে, তাঁরা বলত, মুসলমানদের কেবলার কোন স্থিতি নেই। ইতোপূর্বে তাদের ক্বিবলা ছিল ক্বা'বা, তারপর বায়তুল মুকাদ্দাস, এখন আবার ক্বা'বা শরীফ হল। পুনরায় হয়ত বায়তুল মুকাদ্দাসকে ক্বিবলা করে বানাবে।
✅আল্লাহ যাদেরকে কিতাব দিয়েছে তারা তাকে সেরূপ জানে যেরূপ তারা নিজেদের সন্তানগণকে জানে আর তাদের একদল জেনে-শুনে সত্য গোপন করে থাকে।
—আল বাকারা - ১৪৬
✅সত্য সেটাই, যা তোমার প্রতিপালকের পক্ষ হতে এসেছে। সুতরাং কিছুতেই সন্দেহকারীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না।
—আল বাকারা - ১৪৭
✅প্রত্যেক সম্প্রদায়েরই একটি কিবলা আছে, যে দিকে তারা মুখ করে। সুতরাং তোমরা সৎকর্মে একে অন্যের অগ্রগামী হওয়ার চেষ্টা কর। তোমরা যেখানেই থাক, আল্লাহ তোমাদের সকলকে নিজের নিকট নিয়ে আসবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্ববিষয়ে শক্তিমান।
—আল বাকারা - ১৪৮
✅সূরা আল বাকারার ১৪৮ নম্বর আয়াতের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, প্রত্যেক জাতিরই একটি নির্ধারিত ক্বিবলা আছে। সে ক্বিবলা হয় আল্লাহ্র পক্ষ হতে, অন্যথা তাঁরা নিজেরাই ঠিক করেছে। মোটকথা, ই'বাদাতের সময় প্রত্যেক জাতিই কোন না কোন দিকে মুখ করে দাঁড়ায়। এক্ষেত্রে উম্মতে মুহাম্মাদীর জন্য কোন বিশেষ দিককে নির্ধারন করে দিলে তাতে আশ্চার্য হওয়ার কি আছে।
✅তুমি যেখান থেকেই সফরের জন্য বের হও না কেন, নামাজের সময় নিজের মুখ মসজিদুল হারামের দিকে ফেরাও। নিশ্চয়ই এটাই সত্য, যা তোমার প্রতিপালকের নিকট থেকে এসেছে। আর তোমরা যা-কিছু কর, সে সম্পর্কে আল্লাহ খবর নন।
—আল বাকারা - ১৪৯
✅তুমি যেখান হতেই বের হও না কেন মসজিদুল হারামের দিকে মুখ ফিরাও আর তোমরা যেখানেই থাক না কেন এর দিকে মুখ ফিরাবে, যাতে তাদের মধ্যে জালিমদের ব্যতীত অপর লোকের তোমাদের বিরুদ্ধে বিতর্কের কিছু না থাকে। সুতরাং তাদেরকে ভয় করে না, শুধু আল্লাহকে ভয় কর। যাতে আল্লাহ আল্লাহর নিয়ামত তোমাদেরকে পরিপূর্ণরূপে দান করতে পারে আর যাতে তোমরা সৎপথে পরিচালিত হতে পার।
—আল বাকারা - ১৫০
✅আল্লাহ পাঠিয়েছেন তোমাদেরই মধ্য থেকে তোমাদের জন্যে একজন রসূল, যিনি তোমাদের নিকট আল্লাহর বাণীসমুহ পাঠ করবেন এবং তোমাদের পবিত্র করবেন; আর তোমাদের শিক্ষা দেবেন কিতাব ও তাঁর তত্ত্বজ্ঞান এবং শিক্ষা দেবেন এমন বিষয় যা কখনো তোমরা জানতে না।
—আল বাকারা - ১৫১
✅সূরা আল বাকারার ১৫১ নম্বর আয়াতের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, ক্বা'বা ঘর নির্মানের পর হযরত ইব্রাহীম (আঃ) আল্লাহ্ পাকের নিকট এই জনপদ ও মক্কার জন্য একজন রাসূল পাঠানোর জন্য দোয়া করেছিলেন।
✅তোমরা আল্লাহকে স্মরণ কর, আল্লাহ তোমাদেরকে স্মরণ করবে আর আল্লাহর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর, অকৃতজ্ঞ হয়ো না।
—আল বাকারা - ১৫২
✅সূরা আল বাকারার ১৫২ নম্বর আয়াতের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, ক্বা'বা নির্মাণের পর হযরত ইব্রাহীম (আঃ) আল্লাহ্ পাকের নিকট এই মক্কার জনপদের জন্য একজন রাসূল পাঠানোর জন্য দোয়া করেন। আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) উক্ত দোয়ার ফুলশ্রুতি। অতএব নবী করীম (সাঃ) ও তাঁর উম্মতের ক্বিবলা ক্বা'বা শরীফ হওয়াই অধিকতর যুক্তিযুক্ত।
✅হে মুমিনগণ! তোমরা ধৈর্য্য ও নামাযের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর। নিশ্চিয়ই আল্লাহ ধৈর্য্যশীলদের সাথে আছেন।
—আল বাকারা - ১৫৩
✅সূরা আল বাকারার ১৫৩ নম্বর আয়াতের ব্যাখ্যা অনুযায়ী বলা হয়েছে, তোমরা আল্লাহকে আল্লাহর নির্দেশের আনুগত্যের মাধ্যমে স্বরণ কর, তাহলে আল্লাহ তোমাদেরকে সওয়াব ও ক্ষমার মাধ্যমে স্বরণ করবে। হাদীস শরীফে বর্নিত আছে, মহানবী (সাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর আনুগত্য করে অর্থাৎ তাঁর হালাল ও হারাম সম্পর্কিত নির্দেশাবলী অনুসরণ করে, তাঁর নফল নামায ও রোযা কম হলেও, সে আল্লাহকে স্বরন করে। অপরদিকে যে ব্যক্তি আল্লাহ্ পাকের নির্দেশাবলীর বিরুদ্ধাচারন করে, সে নামাজ-রোজা, তাসবীহ-তাহলীল ইত্যাদি বেশী করলেও প্রকৃতপক্ষে সে আল্লাহকে স্মরণ করে না।
✅যারা আল্লাহর পথে নিহত হয়েছে তাদেরকে মৃত বলো না। প্রকৃতপক্ষে তারা জীবিত, কিন্তু তোমরা তাদের জীবিত থাকার বিষয়টা উপলব্ধি করতে পার না।
—আল বাকারা - ১৫৪
✅সূরা আল বাকারার ১৫৪ নম্বর আয়াতের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, বদর যুদ্ধে ছয়জন মোহাজির এবং আটজন আনসার সাহাবী শাহাদাত বরণ করেন। লোকেরা তখন তাদের নাম নিয়ে বলতে লাগল যে, অমুক অমুক মারা গিয়েছে, তাঁরা পার্থিব নিয়ামত হতে বঞ্চিত হয়েছে ইত্যাদি। এই কথা গুলো বলার কারণে আল্লাহ বলেন যারা আমার পথে নিহত হয়েছে তাদেরকে মৃত বলো না। প্রকৃতপক্ষে তারা জীবিত, কিন্তু তোমরা তাদের জীবিত থাকার বিষয়টা উপলব্ধি করতে পার না। আর তখন সূরা আল বাকারার ১৫৪ নম্বর আয়াতটি নাযিল হয়।
✅আল্লাহ অবশ্যই তোমাদেরকে পরীক্ষা করবে, কখনও কিছুটা ভয়-ভীতি দ্বারা, কখনও ক্ষুধা দ্বারা এবং কখনও জান-মাল ও ফল-ফসলের ক্ষয়ক্ষতি দ্বারা। সুসংবাদ শোনাও তাদেরকে, যারা এরূপ অবস্থায় ধৈর্যের পরিচয় দেয়।
—আল বাকারা - ১৫৫
✅যখন তারা বিপদে পতিত হয়, তখন বলে, নিশ্চয় আমরা সবাই আল্লাহরই জন্য এবং আমরা সবাই তাঁরই কাছে ফিরে যাবো।
—আল বাকারা - ১৫৬
✅সেই সমস্ত লোক, যারা বিপদে পতিত হলে বলে, নিশ্চয়ই আমরা আল্লাহরই জন্য, যাদের প্রতি আল্লাহর অফুরন্ত করুণা ও দয়া রয়েছে এবং এসব লোকই সৎপথে পরিচালিত।
—আল বাকারা - ১৫৭
✅নিঃসন্দেহে সাফা ও মারওয়া আল্লাহ তা’আলার নিদর্শন গুলোর অন্যতম। সুতরাং যারা কা’বা ঘরে হজ্ব বা ওমরাহ পালন করে, তাদের পক্ষে এ দুটিতে প্রদক্ষিণ করাতে কোন দোষ নেই। বরং কেউ যদি স্বেচ্ছায় কিছু নেকীর কাজ করে, তবে আল্লাহ তা’আলা অবশ্যই তা অবগত হবেন এবং তার সে আমলের সঠিক মুল্য দিবেন।
—আল বাকারা - ১৫৮
✅নিশ্চয়ই যারা আল্লাহর নাযিলকৃত উজ্জ্বল নিদর্শনাবলী ও হিদায়াতকে গোপন করে, যদিও আল্লাহ কিতাবে তা মানুষের জন্য সুস্পষ্টরূপে বর্ণনা করেছেন, আল্লাহ্ তাদেরকে লা‘নত দেন আর অভিশাপকারীরাও তাদেরকে অভিশাপ দেয়।
—আল বাকারা - ১৫৯
✅যারা তাওবা করেছে, নিজেদেরকে সংশোধন করেছে এবং গোপন করা সত্য বিষয়গুলো সুস্পষ্টরূপে মানুষের কাছে বর্ণনা করেছে, আল্লাহ তাদের তাওবা কবুল করে থাকেন। আর আল্লাহ অতিশয় তাওবা কবুলকারী, পরম দয়ালু।
—আল বাকারা - ১৬০
✅নিশ্চয়ই যারা কুফরী অবলম্বন করেছে এবং কাফির অবস্থায়ই মারা গেছে, তাদের প্রতি আল্লাহর, ফিরিশতাদের এবং সমস্ত মানুষের লানত।
—আল বাকারা - ১৬১
✅তারাই চিরকাল লা’নতের মাঝেই থাকবে, যারা কাফির অবস্থায় মারা গেছে, আর তাদের উপর থেকে শাস্তি কখনও হালকা করা হবে না এবং তারা কোন বিরাম ও পাবে না।
—আল বাকারা - ১৬২
✅তোমাদের ইলাহ্ এক ইলাহ্, তিনি ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ্ নেই। তিনি দয়াময়, পরম দয়ালু।
—আল বাকারা - ১৬৩
✅সূরা আল বাকারার ১৬৩ নম্বর আয়াতের ব্যাখ্যা অনুযায়ী,
বিভিন্নভাবেই আল্লাহ তা‘আলার তাওহীদ বা একত্ববাদ সপ্রমাণিত রয়েছে। উদাহরণতঃ তিনি একক , সমগ্র বিশ্বে না আছে তাঁর তুলনা, না আছে কোন সমকক্ষ। সুতরাং একক উপাস্য হওয়ার অধিকারও একমাত্র তাঁরই।
দ্বিতীয়তঃ উপাস্য হওয়ার অধিকারেও তিনি একক । অর্থাৎ, তিনি ছাড়া অন্য আর কেউই ‘ইবাদতের যোগ্য নয়।
তৃতীয়তঃ সত্তার দিক দিয়েও তিনি্ একক । অর্থাৎ অংশী-বিশিষ্ট নন। তিনি অংশী ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ থেকে পবিত্র। তাঁর বিভক্তি কিংবা ব্যবচ্ছেদ হতে পারে না।
চতুর্থতঃ তিনি তাঁর আদি ও অনন্ত সত্তার দিক দিয়েও একক , তিনি তখনও বিদ্যমান ছিলেন, যখন অন্য কোন কিছুই ছিল না এবং তখনও বিদ্যমান থাকবেন যখন কোন কিছুই থাকবে না।
এতপর আল্লাহ তা'আলার প্রকৃত একত্ব সম্পর্কে বাস্তব লক্ষণ ও প্রমাণাদি উপস্থাপিত করা হয়েছে, যা জ্ঞানী-নির্জ্ঞান নির্বিশেষে যে কেউই বুঝতে পারে৷
✅নিশ্চয়ই আসমান ও যমীনের সৃষ্টিতে, রাত ও দিনের বিবর্তনে এবং নদীতে নৌকাসমূহের চলাচলে মানুষের জন্য কল্যাণ রয়েছে। আর আল্লাহ তা’ আলা আকাশ থেকে যে পানি নাযিল করেছেন, যা দ্বারা মৃত যমীনকে সজীব করে তুলেছেন এবং তাতে ছড়িয়ে দিয়েছেন সব রকম জীব-জন্তু। আর আবহাওয়া পরিবর্তনে এবং মেঘমালার যা তাঁরই হুকুমের অধীনে আসমান ও যমীনের মাঝে বিচরণ করে, নিশ্চয়ই সে সমস্ত বিষয়ের মাঝে নিদর্শন রয়েছে বুদ্ধিমান সম্প্রদায়ের জন্যে।
—আল বাকারা - ১৬৪
✅মানুষের মধ্যে কেউ কেউ আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কাউকে আল্লাহর সমকক্ষরূপে গ্রহণ করে এবং আল্লাহ্কে ভালবাসার অনুরূপ অন্যকে কাউকে ভালবাসে; কিন্তু যারা ঈমান এনেছে আল্লাহর প্রতি ভালবাসায় তারা সুদৃঢ়। জালিমরা শাস্তি প্রত্যক্ষ করলে যেমন বুঝবে, হায় ! এখন যদি তারা তেমন বুঝত, সমস্ত শক্তি আল্লাহরই এবং আল্লাহ্ শাস্তি দানে অত্যন্ত কঠোর।
—আল বাকারা - ১৬৫
✅যখন অনুসৃতগণ তাদের অনুসরণকারীদের সঙ্গে সম্পূর্ণরূপে সম্পর্কহীনতার ঘোষণা দিবে এবং তারা সকলে আযাব দেখতে পাবে এবং তাদের পারস্পরিক সব সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যাবে।
—আল বাকারা - ১৬৬
✅যারা আল্লাহর পরিবর্তে অন্য তাদের নেতৃবর্গের অনুসরণ করত, তারা বলবে, হায়! একবার যদি আমাদের দুনিয়ায় ফিরে যাওয়ার সুযোগ হত, তবে আমরা তাদের নেতৃবর্গের সঙ্গে এভাবেই সম্পর্কহীনতা ঘোষণা করতাম, যেমন তারা আমাদের সঙ্গে সম্পর্কহীনতা ঘোষণা করেছে। এভাবে আল্লাহ তাদেরকে দেখাবেন যে, তাদের কার্যাবলী আজ তাদের জন্য সম্পূর্ণ মনস্তাপে পরিণত হয়েছে। আর তারা কোনও অবস্থায়ই জাহান্নাম থেকে বের হতে পারবে না।
—আল বাকারা - ১৬৭
✅হে মানুষ! পৃথিবীতে যা-কিছু হালাল, খাদ্যবস্তুু আছে তা খাও এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ কর না, নিশ্চয় সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।
—আল বাকারা - ১৬৮
✅সূরা আল বাকারার ১৬৮ নম্বর আয়াতের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, বনী ছকীফ ও খোজা'আ আমের ইবনে ছ'ছাআ প্রভৃতি আরব্য কাফেরদের সম্বন্ধে অবতীর্ণ হয়, যারা দেবতার নামে ছেড়ে দেয়া ষাঁড়ের গোশত হারাম মনে করত।
✅শয়তানকে অনুসরণকারী কাফেরেরা তোমাদেরকে এই নির্দেশই দিবে যে, তোমরা অন্যায় ও অশ্লীল কাজ করতে থাক এবং আল্লাহর প্রতি এমন সব বিষয়ে মিথ্যারোপ কর, যা তোমরা জান না।
—আল বাকারা - ১৬৯
✅সূরা আল বাকারার ১৬৯ নম্বর আয়াতের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, আল্লাহ তা'য়ালার যেসব হেদায়েত নাযিল হয়েছে, সেসব মানুষের কাছে গোপন গুনাহ করা এত শক্ত গুনাহ, যার জন্য আল্লাহ্ নিজেও লা'নত করে থাকেন এবং সমগ্র সৃষ্টি লা'নত করে। অবশ্যই এর মাধ্যমে সেই জ্ঞানকে বুঝানো হয়েছে যা কোরআন ও সুন্নাহতে পরিস্কারভাবে উল্লেখ আছে এবং যার প্রকাশ ও প্রচার করা অবশ্যই কর্তব্য।
✅যখন কাফিরদেরকে বলা হয়, আল্লাহ যে বাণী নাযিল করেছেন তার অনুসরণ কর, তখন তারা বলে, না, আমরা তো কেবল সে সকল বিষয়েরই অনুসরণ করব, যার উপর আমরা আমাদের বাপ-দাদাকে পেয়েছি। আচ্ছা! যখন তাদের বাপ-দাদা আল্লাহর দ্বীনের কিছুই জানতে না বুঝতে না, আর তারা কোনও হিদায়াতও লাভ করেনি, তখনও কি তাদের অনুসরণ করা উচিত।
—আল বাকারা - ১৭০
✅সূরা আল বাকারার ১৭০ নম্বর আয়াতের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, পূর্ব-পুরুষের আনুগত্য ও অনুসরণের কথা নিষেধ করা হয়েছে, তার প্রকৃত মর্ম হল ভ্রান্ত এবং মিথ্যা বিশ্বাস ও কার্যকলাপের ক্ষেত্রে বাপ-দাদা ও পূর্ব-পুরুষের অনুসরণ। যথার্থ ও সঠিক বিশ্বাস এবং সৎকর্ম তাদের অনুসরণ করা এর অন্তর্ভূক্ত নয়।
✅যারা কুফরী অবলম্বন করেছে, সত্যের দাওয়াতের ব্যাপারে তাদের দৃষ্টান্ত ঠিক এ রকম, যেমন কোনও ব্যক্তি এমন কিছুকে ডাকে, যারা হাঁক-ডাক ছাড়া আর কিছুই শোনে না। তারা বধির, বোবা, অন্ধ। সুতরাং তারা কখনোই বুঝবে না।
—আল বাকারা - ১৭১
✅হে ঈমানদারগণ, তোমরা পবিত্র বস্তু সামগ্রী আহার কর, যেগুলো আল্লাহ তোমাদেরকে রুযী হিসাবে দান করেছেন এবং শুকরিয়া আদায় কর আল্লাহর, যদি তোমরা তাঁরই ইবাদত করে থাক।
—আল বাকারা - ১৭২
No comments