Header Ads

Header ADS

পার্ট - ৪ || সূরাঃ আল বাকারা

 


✅যখন তাদেরকে বলা হয়, আল্লাহ যে কালাম নাযিল করেছেন তার প্রতি ঈমান আনায়ন করে, তখন তারা বলে, আমরা তো কেবল সেই কালামের উপরই ঈমান আনায়ন করবে, যা আমাদের প্রতি নাযিল করা হয়েছে । আর এছাড়া অন্যান্য যত আসমানী কিতাব আছে, সে সব কিছুকে তারা অস্বীকার করে। অথচ  তাও  সত্য  এবং  তা  তাদের  কাছে যে কিতাব আছে, তারা তা সমর্থনও করে। হে নবী তুমি তাদের বলে দাও, তোমরা যদি বাস্তবিকই তাওরাতের উপর ঈমান রাখতে তবে পূর্বে আল্লাহর নবীগণকে হত্যা করছিলে কেন?

          —আল বাকারা - ৯১ 


✅নিশ্চয় মূসা উজ্জ্বল নিদর্শনাবলীসহ তোমাদের কাছে এসেছিল। তার পরে ও তোমরা বাছুরকে তোমাদের মাবুদ বানিয়ে নিলে। আর তোমরা তো ছিলো জালিম।

          —আল বাকারা - ৯২


✅সেই সময়ের কথা স্মরণ কর, যখন আল্লাহ তোমাদের থেকে প্রতিশ্রুতি নিয়েছিলেন এবং তোমাদের উপর তূর পাহাড়কে উত্তোলন করেছিলেন এবং আল্লাহ বলেছিলেন আমি তোমাদেরকে যা কিছু দিয়েছি তা শক্ত করে ধর। এবং আমি যা কিছু তোমাদের বলি মনোযোগ দিয়ে শোন। তারা মুখে বলল, শুনলাম এবং অন্তরে বলল, অমান্য করলাম। প্রকৃতপক্ষে তাদের কুফুরীর অশুভ পরিণামে তাদের অন্তরে বাছুর জেঁকে বসেছিল। আল্লাহ মূসা (আঃ) কে বললেন, তাদেরকে বলে দিন, তোমরা যদি মুমিন হয়ে থাক, তবে তোমাদের ঈমান তোমাদেরকে যে বিষয়ের নির্দেশ দেয় তা কতই না মন্দ!

          —আল বাকারা - ৯৩


✅আল্লাহ মূসা (আঃ) কে বললো,  ইহুদিদের বলে দিন, যদি আখেরাতের বাসস্থান আল্লাহর কাছে একমাত্র ইহুদিদের জন্যই বরাদ্দ হয়ে থাকে অন্য লোকদের বাদ দিয়ে, তবে ইহুদিদের মৃত্যু কামনা করতে বল, যদি ইহুদিরা সত্যবাদী হয়ে থাকে।

—আল বাকারা - ৯৪


✅সূরা আল বাকারার ৯৪ নম্বর আয়াতের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, ইহুদীরা বলত, জান্নাতে ইহুদীরা ছাড়া আর কেউই যেতে পারবে না। এর প্রতিবাদে সূরাঃ আল বাকারার ৯৪ নম্বর আয়াতটি অবতীর্ণ হয়। আল্লাহ তা'য়ালা ইহুদীদের এই আমূলক দাবিও বাতিল করে দিয়েছেন যে, জান্নাতের উপভোগ যদি তোমাদের জন্যই নির্ধারিত হয়ে থাকে, তবে তোমারা জলদি মৃত্যু কেন কামনা করছ না? যাতে মৃত্যুর সাথে সাথে আখেরাতে নিজেদের আসন সমূহে পৌঁছুতে পার। যারা আখেরাতের শাস্তি ও পুরস্কারের প্রতি অগাধ বিশ্বাস রাখে কেবল তারাই আখেরাতের প্রতি অত্যন্ত আকর্ষিত হয়ে পড়ে এবং সত্বর মৃত্য কামনা করে। কিন্তু ইহুদীরা নিজেদের কাজের শাস্তির ভয়ে মৃত্যু হতে নিস্কৃতি পেতে চায় এবং হাজার বছরের জীবন কামনা করে, তাদের অপকর্মের পরিণাম ফল যেন ভোগ করতে না হয়, অথচ তা ভোগ করতেই হবে। অতএব প্রমাণিত হল যে, তাদের দাবীতে বাস্তবতার লেশমাত্রও নেই। 


✅ইহুদিরা তাদের কুকর্মের জন্যে কখনই তাদের মৃত্যু কামনা করবে না। আল্লাহ জালিমদের সম্পর্কে বে খবর নন। 

          —আল বাকারা - ৯৫


✅ইহুদিরা জীবনের প্রতি সবার চাইতে, এমনকি মুশরিকদের চাইতেও অধিক লোভী দেখবেন। তাদের প্রত্যেকে কামনা করে, যদি এক হাজার বছর আয়ু লাভ করত, অথচ দীর্ঘায়ু লাভ তাদেরকে আযাব থেকে রক্ষা করতে পারবে না। আর তারা যা কিছুই করছে আল্লাহ তা ভালোভাবে দেখছেন।

          —আল বাকারা - ৯৬


✅হে নবী আপনি ইহুদিদেরকে বলে দিন, কোনও ব্যক্তি যদি জিবরাঈলের শত্রু হয়, তবে হোক না, সে তো আল্লাহর অনুমতিক্রমেই তোমাদের হৃদয়ে কুরআন পৌঁছে দিয়েছে, যা  তার পূর্ববর্তী কিতাবসমূহের সমর্থন করে এবং যা মুমিনদের জন্যে হেদায়াত এবং পথপ্রদর্শকের সুসংবাদ। 

          —আল বাকারা - ৯৭


✅যদি কোনও ব্যক্তি আল্লাহর, তাঁর ফিরিশতাদের, তাঁর রাসূলগণের এবং জিবরাঈল ও মিকাঈলের শত্রু হয়, তবে সে শুনে রাখুক আল্লাহ কাফিরদের শত্রু।

—আল বাকারা - ৯৮


✅সূরা আল বাকারার ৯৮ নম্বর আয়াতের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) নবী হওয়ার পর ইহুদীদেরকে ইসলামের দাওয়াত দিলে তাদের একদল রাসূল (সাঃ) এর দরবারে উপস্থিত হয়ে বলল, আমরা আপনাকে কয়েকটি প্রশ্ন করব, আপনি সঠিক উত্তর দিতে পারলে আমরা ইমান আনব। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর অনুমতিক্রমে তাঁরা বলল, তাওরাত অবতীর্নের পূর্বে ইয়াক্বূব (আঃ) কোন বস্তু নিজের জন্য হারাম করেছিলেন? স্ত্রী-পুরুষের সম্মিলিত শুক্র হতে কখনও ছেলে কখনও মেয়ে কেন জন্মে? তাওরাতে শেষ নবীর পরিচয় কি লেখা আছে এবং কোন কোন ফেরেশতা তাঁর সঙ্গী হবে? রাসূলুল্লাহ (সাঃ) সঠিক ভাবে তাদের প্রশ্ন সমূহের উত্তর দিলেন। ইহুদীরা উত্তর মেনে নেয়ার পর বলল, জিবরাঈল তো পূর্ব হতেই আমাদের শত্রু, তদস্থলে অন্য কেউ হলে আমরা ইমান আনতাম। ফলে এই আয়াত নাযিল হয়। 


✅নিশ্চয়ই আল্লাহ আপনার প্রতি এমন সব আয়াত নাযিল করেছেন, ফাসিকরা ব্যতীত অন্য কেউ তা অস্বীকার করে না।

          —আল বাকারা - ৯৯


✅কি আশ্চর্য, যখনই তারা অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়েছে তখনই তাদের কোন একদল তা ভঙ্গ করেছে ? বরং তাদের অধিকাংশই ঈমান আনে না।

          —আল বাকারা - ১০০ 


✅যখন বনী ইসরাঈলীদের নিকট আল্লাহর তরফ থেকে এক রাসূল আসল, যে বনী ইসরাঈলীদের নিকট যা আছে অর্থাৎ বনী ইসরাঈলীরা তাওরাতের সমর্থন করছিল, তখন কিতাবীদের মধ্য হতে একটি দল বনী ইসরাঈলী আল্লাহর কিতাব তাওরাত ও ইনজীলকে এমন ভাবে পেছনে নিক্ষেপ করল, বনী ইসরাঈলীরা যেন কিছুই জানত না অর্থাৎ তাতে শেষ নবী সম্পর্কে যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল, বনী ইসরাঈলীরা যেন তা জানতই না।

          —আল বাকারা - ১০১ 


✅বনী ইসরাঈলীরা সুলায়মান (আঃ) এর শাসনামলে শয়তানগণ যা কিছু মন্ত্র পড়ত তার পেছনে পড়ে গেল। সুলায়মান (আঃ) কোন কুফর করেনি। অবশ্য শয়তানগণ মানুষকে যাদু শিক্ষা দিয়ে কুফরীতে লিপ্ত  হয়েছিল। তাছাড়া বনী ইসরাঈলীরা বাবিল শহরে হারূত ও মারূত নামক ফিরিশতাদ্বয়ের প্রতি যা নাযিল হয়েছিল তার পেছনে পড়ে গেল। এ ফিরিশতাদ্বয় কাউকে ততক্ষণ পর্যন্ত কোনও তালীম দিত না, যতক্ষণ না বলে দিত, আমরা কেবলই পরীক্ষাস্বরূপ প্রেরিত হয়েছি। সুতরাং তোমরা যাদুর পেছনে পড়ে কুফরী অবলম্বন করো না। তথাপি তারা তাদের থেকে এমন জিনিস শিক্ষা করত, যা দ্বারা তারা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটাত, তবে প্রকাশ থাকে যে, তারা তার মাধ্যমে আল্লাহর ইচ্ছা ছাড়া কারও কোন ক্ষতি সাধন করতে পারত না। কিন্তু তারা এমন জিনিস শিখত, যা তাদের পক্ষে ক্ষতিকর ছিল এবং উপকারী ছিল না। আর তারা এটাও জানতে যে, যে ব্যক্তি জাদুর খরিদ্দার হবে আখিরাতে তার কোনও অংশ থাকবে না। বস্তুত তারা যার বিনিময়ে নিজেদেরকে বিক্রি করেছে তা অতি মন্দ। যদি তাদের এ বিষয়ের প্রকৃত জ্ঞান থাকত।

—আল বাকারা - ১০২


✅সূরা আল বাকারার ১০২ নম্বর আয়াতের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, হযরত সুলাইমান (আঃ)-কে ইহুদীরা যাদুকর মনে করত। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) যখন হযরত সুলাইমান (আঃ) কে সম্মানের সাথে স্মরণ করলেন, ইহুদীরা বলল কি আশ্চার্য ব্যাপার। মুহাম্মাদ (সাঃ) সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশিয়ে ফেলছে, সুলাইমানকেও নবীদের মধ্যে গননা করেন, অথচ তিনি ছিলেন একজন যাদুকর এবং সেই জাদু বলে তিনি শুন্যে বিচরণ করতেন নাউযু বিল্লাহ। তখন এরই প্রতিবাদে আলোচ্য আয়াত অবতীর্ন হয়। ব্যাখ্যা উদ্বৃত আয়াতে আল্লাহর কিতাব পেছনের দিকে নিক্ষেপ করে ফেলে দেয়ার কথাটি বিস্তারিত ভাবে বর্ণনা করেন। অর্থাৎ তাঁরা কিতাবুল্লাহ পরিত্যাগ করে কতেক অযাথা ভণ্ড কাজের প্রতি ঝুকে পড়ল  হযরত সুলাইমান (আঃ) এর রাজত্বকালের শয়তানদের যাদুর প্রতি। আর তাঁরা সেটা হযরত সুলাইমান (আঃ)- এর প্রতি আরোপ করল, অথচ তাঁরা সেই কুফরীতে লিপ্ত হয়েছিল, যারা মানুষকে যাদু বিদ্যা শিখাত এবং এ ইহুদী ও অন্যান্য লোকেরা তাঁর প্রতি অনুপ্রানিত হয়ে অনুসরন করল। যদি সন্দেহ মূলক বাক্য হয়, যার মর্ম উপলব্ধি করা যায় না, তবে কুফরীর সম্ভবনা বশতঃ তা হতে বেঁচে থাকা ওয়াজিব। বাবেল শহরে অথ্যাৎ বাবিল বা ব্যাবিলন শহরটি ফোরাত নদীর তীরে অবস্থিত। হারত এবং মারূত আল্লাহ মানুষকে যাদুর গুরুত্ব বুঝানোর জন্য এ ফেরেশ্তাদ্বয়কে প্রেরন করেন। 


✅যদি তারা ঈমান আনত এবং আল্লাহ ভীরু হত, তবে আল্লাহর কাছ থেকে উত্তম প্রতিদান পেত। যদি তারা জানত।

          —আল বাকারা - ১০৩


✅হে মুমিন গণ, তোমরা ‘রায়িনা’ বলো না-‘উনযুরনা’ বল এবং শুনতে থাক। আর কাফেরদের জন্যে রয়েছে যন্ত্রণাময় শাস্তি।

—আল বাকারা - ১০৪ 


✅সূরা আল বাকারার ১০৪ নম্বর আয়াতের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, রায়েনা"- অর্থ আমাদের প্রতি লক্ষ করুন। ইহুদীদের ভাষায় এর অর্থ "হে বোকা"। তাই আল্লাহ্‌ তায়ালা ঐ শব্দের স্থলে 'উন্‌যুরনা' ব্যবহারের নির্দেশ দেন।

          

✅কিতাবীদের মধ্যে যারা কুফরী করেছে তারা এবং মুশরিকরা এটা চায় না যে, তোমাদের প্রতিপালকের নিকট হতে তোমাদের প্রতি কোন কল্যাণ অবতীর্ণ হোক। অথচ আল্লাহ্ যাকে ইচ্ছা নিজ রহমতের জন্যে বিশেষরূপে মনোনীত করেন এবং আল্লাহ মহা অনুগ্রহের মালিক।

          —আল বাকারা - ১০৫


✅আল্লাহ কোন আয়াত রহিত করলে বা তা ভুলিয়ে দিলে, তখন তার চেয়ে উত্তম বা সেই সমতুল্য আয়াত আনয়ন করেন। তোমরা কি জান না, আল্লাহ সকল বিষয়ে ক্ষমতা রাখেন।

          —আল বাকারা - ১০৬ 


✅তুমি কি জান না যে, আল্লাহর জন্যই নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের আধিপত্য? আল্লাহ ব্যতীত তোমাদের কোন বন্ধু ও সাহায্যকারী নেই।

          —আল বাকারা - ১০৭


✅তোমরা কি তোমাদের রাসূলকে সেই রকমের প্রশ্ন করতে চাও, যেমন প্রশ্ন পূর্বে মূসাকে করা হয়েছিল? যে ব্যক্তি ঈমানের পরিবর্তে কুফরী অবলম্বন করে, নিশ্চিতভাবে সে সরল পথ হারায়।

—আল বাকারা - ১০৮


✅সূরা আল বাকারার ১০৮ নম্বর আয়াতের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, রাফে' ইবনে হারমালা ও ওয়াহাব ইবনে জাইদ  রাসূলুল্লাহ (সাঃ)- কে বলল যে মুহাম্মাদ! তুমি ও মূসা (আঃ)- এর ন্যায় এক সাথে সন্নিবেশিত অবস্থায় কিতাব এনে দাও, আর পাথর হতে ঝর্ণা নির্গত কর তখন আমরা তোমার উপর ইমান আনব। তখন এ আয়াত অবতীর্ন হয়, যখন তাঁরা হুযুর (সা) কে বলল, তুমি যদি আপন রবকে প্রকাশ্যে দেখাও তবে ইমান আনব। তখন এ আয়াত অবতীর্ন হয়।


✅হে মুসলিমগণ আহলে কিতাবদের অনেকেই প্রতিহিংসাবশতঃ চায় যে, মুসলমান হওয়ার পর তোমাদেরকে কোন রকমে কাফের বানিয়ে দিতে। অতএব তোমরা ক্ষমা কর ও উপেক্ষা কর, যতক্ষণ না আল্লাহ্ কোন নির্দেশ দেন, নিশ্চয় আল্লাহ সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান।

—আল বাকারা - ১০৯ 


✅সূরা আল বাকারার ১০৯ নম্বর আয়াতের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, ইহ্যদী আখতারের দুই ছেলে হাই ও আবু এয়াছের সম্বন্ধে উদ্বৃত আয়াতটি অবতীর্ন হয়। তাঁরা চরম হিংসুটে ছিল এবং মুসলমানদের ইসলাম হতে ফিরিয়ে মুরতাদ বানানোর আপ্রান চেষ্টা করত। 


✅তোমরা নামায প্রতিষ্ঠা কর এবং যাকাত দাও। তোমরা নিজের জন্যে যে সৎকর্ম প্রেরণ করবে, তা আল্লাহর কাছে পাবে। তোমরা যা কিছু কর, নিশ্চয় আল্লাহ তা দেখছেন।

          —আল বাকারা - ১১০ 


✅ইহুদী খ্রীস্টান ও নাসারাগণ বলে, জান্নাতে ইহুদী খ্রীস্টান ও নাসারাগণ ছাড়া অন্য কেউ কখনও প্রবেশ করবে না। এসব তাদের মনের বাসনা মাত্র। আপনি তাদেরকে বলে দিন, তোমরা যদি সত্যবাদী হও, তবে তোমাদের প্রমাণ উপস্থিত কর।

—আল বাকারা - ১১১ 


✅সূরা আল বাকারার ১১১ নম্বর আয়াতের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, 

হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্নিত নজরানের আদিবাসী খৃষ্টান দল রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর দরবারে উপস্থিত হল, তথায় ইহুদীরাও ছিল। রাফে ইবনে খোজায়েমা ইহুদী আলেম ঈসায়ীদেরকে বলে, তোমাদের ধর্ম কোন ভিত্তির উপর নেই, তাঁরা ঈসা (আঃ)- কে নবী হওয়াও অস্বীকার করল। তখন জনৈক নাজরানী ঈসায়ী অনুরূপ উত্তর দিয়ে হযরত মূসা (আঃ)-এর নবুওয়াত প্রত্যাখ্যান করল। তখন এই আয়াত অবতীর্ন হয়। 


✅যে ব্যক্তি আল্লাহর সামনে মাথা নত করবে এবং সৎকর্মশীল হবে, সে নিজ প্রতিপালকের কাছে তার উত্তম প্রতিদান পাবে। আর এরূপ লোকদের কোন ভয় থাকবে না এবং তারা দুঃখী ও হবে না।

          —আল বাকারা - ১১২ 


✅ইহুদিরা বলে, খ্রিস্টানদের ধর্মের কোনও ভিত্তি নেই এবং খ্রিস্টানরা বলে, ইহুদিদের ধর্মের কোনও ভিত্তি নেই। অথচ এরা সবাই কিতাব পড়ে। এই ভাবে যারা কিছুই জানে না তারাও অনুরূপ কথা বলে। সুতরাং তারা যে বিষয়ে মতবিরোধ করেছে আল্লাহ কিয়ামতের দিন তাদের মধ্যে সে বিষয়ে ফায়সালা করবেন।

          —আল বাকারা - ১১৩


✅সেই ব্যক্তির চেয়ে বড় জালেম আর কে আছে, যে আল্লাহর মসজিদসমূহে আল্লাহর নাম নিতে বাধা প্রদান করে এবং তাকে বিনাশ করার চেষ্টা করে? এরূপ লোকের মসজিদসমূহে প্রবেশ করাই সঙ্গত নয়। তাদের জন্য দুনিয়ায় রয়েছে লাঞ্ছনা এবং তাদের জন্য আখিরাতে রয়েছে কঠিন শাস্তি।

          —আল বাকারা - ১১৪


✅পূর্ব ও পশ্চিম সব আল্লাহরই। সুতরাং তোমরা যে দিকেই মুখ ফেরাবে সেটা আল্লাহরই দিক। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বব্যাপী ও সর্বজ্ঞ।

—আল বাকারা - ১১৫


✅সূরা আল বাকারার ১১৫ নম্বর আয়াতের ব্যাখ্যা অনুযায়ী,

হযরত বরী'আ (রাঃ) বলেন, একদা আমরা রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর সঙ্গে সফরে ছিলাম। রাতে নামাজ পড়তে প্রস্তুত হলে কেবলার দিক নির্নয় করা গেল না। অবশেষে প্রত্যেকে নিজ নিজ ধারণা অনুসারে যে দিকে কেবলা মনে করল সে দিকেই নামাজ পড়ল।  রাসূলুল্লাহ (সাঃ)- এর নিকট সকালে ঘটনাটি বর্ননা করা হলে আয়াতটি অবতীর্ণ হয়। অর্থাৎ পূর্ব-পশ্চিম সব দিকই আল্লাহ্‌র, সর্বত্রই তাঁর ঝলক বিরাজমান, তাই এরূপ দুর্বিপাকে পশ্চিম দিকের কোন বিশেষত্ব থাকে না। কারো কারো মতে আয়াতটি পর্যটন সম্বন্ধীয়। অর্থাৎ কেউ যদি সফরে নফল নামায সওয়ারীতে বসে পড়তে চায়, কেবলামুখী হওয়া শর্ত নয়।


✅তারা বলে, আল্লাহ সন্তান গ্রহণ করেছেন, তিনি তো এসব কিছু থেকে পবিত্র, বরং নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলে যা কিছু রয়েছে, সব কিছু তাঁরই একান্ত অনুগত। 

          —আল বাকারা - ১১৬


✅আল্লাহ নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের সৃষ্টিকর্তা। তিনি যখন কোনও বিষয়ের ফায়সালা করেন তখন কেবল এতটুকু বলেন যে, ‘হয়ে যাও’ তৎক্ষণাৎ তা হয়ে যায়।

          —আল বাকারা - ১১৭


✅যেসব লোক জ্ঞান রাখে না, তারা বলে, আল্লাহ আমাদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন না কেন, কিংবা আমাদের কাছে কোনও নিদর্শন আসে না কেন? এমনিভাবে তাদের পূর্বে যেসব লোক গত হয়েছে, তারাও তাদের কথার মত কথা বলত। তাদের সকলের অন্তর একই রকম। প্রকৃতপক্ষে যে সব লোক বিশ্বাস করতে চায়, তাদের জন্য পূর্বেই আমি নিদর্শনাবলী স্পষ্ট করে দিয়েছি।

          —আল বাকারা - ১১৮


✅হে নবী!! নিশ্চয়ই আমি তোমাকে সত্যসহ এভাবে প্রেরণ করেছি যে, তুমি জান্নাতের সুসংবাদ দেবে এবং জাহান্নাম সম্পর্কে ভীতি প্রদর্শন করবে। যেসব লোক স্বেচ্ছায় জাহান্নাম এর পথ বেছে নিয়েছে, তাদের সম্পর্কে তোমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে না।

          —আল বাকারা - ১১৯


✅ইহুদি খ্রীষ্টান এবং নাসারা তোমার প্রতি কিছুতেই খুশী হবে না, যতক্ষণ না তুমি তাদের ধর্মের অনুসরণ করবে। বলে দাও, প্রকৃত হিদায়াত তো আল্লাহরই হিদায়াত। তোমার কাছে ওহীর মাধ্যমে যে জ্ঞান এসেছে, তার পরও যদি তুমি তাদের খেয়াল-খুশীর অনুসরণ কর, তবে আল্লাহর থেকে রক্ষা করার জন্য তোমার কোনও অভিভাবক থাকবে না এবং সাহায্যকারীও না। 

          —আল বাকারা - ১২০


✅যাদেরকে আমি কিতাব দিয়েছি তারা যখন তা তিলাওয়াত করে, যেভাবে তিলাওয়াত করা উচিত তখন তারাই তার প্রতি প্রকৃ ঈমান রাখে। আর যারা তা অস্বীকার করে, তারাই ক্ষতিগ্রস্ত 

          —আল বাকারা - ১২১ 


✅হে বনী ইসরাঈল! তোমরা আল্লাহর সেই নিয়ামত স্মরণ কর, যা আল্লাহ তোমাদেরকে দিয়েছিলেন এবং এই বিষয়টি ও স্মরণ কর যে, আল্লাহ জগতসমূহের মধ্যে তোমাদেরকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছিলেন।

          —আল বাকারা - ১২২


✅সেই দিনকে ভয় কর, যে-দিন কেউ কারও কোনও কাজে আসবে না, কারও থেকে কোনওরূপ বিনিময় গৃহীত হবে না, কোনও সুপারিশ কারও উপকার করবে না এবং কেহ কোনও প্রকার সাহায্য লাভ করবে না। 

          —আল বাকারা - ১২৩ 


✅যখন ইব্রাহীমকে আল্লাহ কয়েকটি বিষয়ে পরীক্ষা করলেন, অতঃপর ইব্রাহীম (আঃ) তা পূর্ণ করে দিলে, তখন আল্লাহ বললেন, আমি তোমাকে মানবজাতির ইমাম বানাতে চাই। ইব্রাহীম (আঃ) বললেন, আমার বংশধর থেকেও! আল্লাহ বললেন, আমার এই প্রতিশ্রুতি জালিমদের জন্য প্রযোজ্য নয়।

          —আল বাকারা - ১২৪


✅যখন আল্লাহ কা’বা ঘরকে পরিণত করলেন মানবজাতির মিলন কেন্দ্রের জায়গা এবং পরিপূর্ণ নিরাপত্তার স্থান। আর বলেছিলেন, তোমরা মাকামে ইব্রাহীমকে সালাতের স্থানরূপে গ্রহণ কর এবং আল্লাহ ইবরাহীম ও ইসমাঈলকে হুকুম করলেন, তোমরা আমার কা’বা ঘরকে সেই সকল লোকের জন্য পবিত্র কর, যারা এখানে তাওয়াফ করবে, ইতিকাফ করবে এবং রুকূ‘ ও সিজদা আদায় করবে।

          —আল বাকারা - ১২৫


✅যখন ইবরাহীম (আঃ) বলেছিলেন, হে আমার প্রতিপালক! এই স্থানটাকে এক নিরাপদ নগরী বানিয়ে দাও এবং এর বাসিন্দাদের মধ্যে যারা আল্লাহ ও পরকালের প্রতি ঈমান আনবে তাদেরকে বিভিন্ন রকম ফলের রিযিক দান কর। আল্লাহ বললেন, যে ব্যক্তি কুফরী অবলম্বন করবে তাকেও আমি কিছু কালের জন্য জীবন ভোগের সুযোগ দেব, এরপর তাকে জাহান্নামের শাস্তি ভোগ করতে বাধ্য করব আর সেটা তাদের জন্য কত নিকৃষ্ট বাসস্থান।

          —আল বাকারা - ১২৬


✅যখন ইব্রাহীম ও ইসমাঈল (আঃ) কা'বা ঘরের ভিত স্থাপন করছিল। তখন তারা দোয়া করেছিল, হে আমাদের প্রতিপালক, আমাদের এই কাজ গ্রহণ কর, নিশ্চয় আপনি সব কিছু শোনেন এবং সবকিছু জানেন।

          —আল বাকারা - ১২৭


✅হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে আপনার একান্ত অনুগত বানিয়ে নিন এবং আমাদের বংশধর থেকেও একটি অনুগত দল সৃষ্টি করুন, আমাদের হজ্বের রীতিনীতি বলে দিন এবং আমাদের ক্ষমা করুন। নিশ্চয় আপনি তওবা কবুলকারী ও দয়ালু।

          —আল বাকারা - ১২৮ 


✅হে আমাদের প্রতিপালক! তাদের মধ্যে এমন একজন রাসূলও প্রেরণ করুন, যে তাদের সামনে আপনার আয়াতসমূহ তিলাওয়াত করবে, তাদেরকে কিতাব ও হিকমতের শিক্ষা দিবে এবং তাদেরকে পবিত্র করবে। নিশ্চয়ই আপনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।

          —আল বাকারা - ১২৯ 


✅যে ব্যক্তি নিজেকে নির্বোধ সাব্যস্ত করেছে, সে ছাড়া আর কে ইবরাহীমের পথ পরিহার করে, আল্লাহ দুনিয়ায় তাকে মনোনীত করেছেন, আর আখিরাতে সে সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত হবে।

          —আল বাকারা - ১৩০


✅যখন তাঁর প্রতিপালক তাঁকে বললেন, ‘আত্মসমর্পণ কর’, সে বলেছিল, ‘জগতসমূহের প্রতিপালকের নিকট আত্মসমর্পণ করলাম।

          —আল বাকারা - ১৩১


✅ইব্রাহীম তার সন্তানদের এই কথারই ওছিয়ত করেছে এবং ইয়াকুবও যে, হে আমার সন্তানগণ, নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের জন্য এই ধর্মকে মনোনীত করেছেন। কাজেই তোমরা মুসলমান না হয়ে কখনও মৃত্যুবরণ করো না।

          —আল বাকারা - ১৩২ 


✅তোমরা নিজেরা কি সেই সময় উপস্থিত ছিলে যখন ইয়াকুবের মৃত্যুক্ষণ এসে গিয়েছিল, যখন সে তার পুত্রদের বলেছিল, আমার পর তোমরা কার ইবাদত করবে? তারা সকলে বলেছিল, আমরা সেই এক আল্লাহরই ইবাদত করব, যিনি আপনার মাবুদ এবং আপনার বাপ-দাদা ইবরাহীম, ইসমাঈল ও ইসহাকেরও মাবুদ। আমরা কেবল তাঁরই অনুগত।

          —আল বাকারা - ১৩৩


✅যারা অতীতে গত হয়েছে তারা ছিল উম্মত, তারা যা-কিছু অর্জন করেছে তা তাদেরই এবং তোমরা যা-কিছু অর্জন করেছ তা তোমাদেরই। তোমাদেরকে জিজ্ঞেস করা হবে না যে, তারা কি কাজ করত।

          —আল বাকারা - ১৩৪ 


✅ইহুদি ও খ্রিস্টানরা মুসলিমদেরকে বলে, তোমরা ইহুদি অথবা খ্রিস্টান হয়ে যাও, তবে সঠিক পথ পেয়ে যাবে। বলে দাও, আমরা তো ইবরাহীমের দীন মেনে চলব, যিনি যথাযথ সরল পথের উপর ছিলেন। তিনি সেই সব লোকের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন না, যারা আল্লাহর সঙ্গে অন্যকে শরীক করত।

          —আল বাকারা - ১৩৫ 


✅হে মুসলিমগণ! বলে দাও যে, আমরা আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছি এবং সেই বাণীর প্রতিও, যা আমাদের উপর নাযিল করা হয়েছে এবং তার প্রতিও, যা ইবরাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকুব ও তাঁদের সন্তানদের প্রতি নাযিল করা হয়েছে এবং তার প্রতিও, যা মূসা ও ঈসাকে দেওয়া হয়েছিল এবং তার প্রতিও, যা অন্যান্য নবীগণকে তাঁদের প্রতিপালকের পক্ষ হতে দেওয়া হয়েছিল। আমরা এই নবীগণের মধ্যে কোনও পার্থক্য করি না এবং আমরা একমাত্র আল্লাহরই অনুগত। 

          —আল বাকারা - ১৩৬ 


✅তারাও যদি সেই রকম ঈমান আনে যেমন তোমরা ঈমান এনেছে, তবে তারা সঠিক পথ পেয়ে যাবে। আর তারা যদি মুখ ফিরিয়ে নেয় তবে তারা মূলত শত্রুতায় লিপ্ত হয়ে পড়েছে। সুতরাং শীঘ্রই আল্লাহ তোমার সাহায্যার্থে তাদের দেখে নেবেন এবং তিনি সকল কথা শোনেন ও সবকিছু জানেন।

          —আল বাকারা - ১৩৭ 


✅হে মুসলিমগণ! বলে দাও, আমরা আল্লাহর রং গ্রহণ করেছি। আল্লাহর রং এর চাইতে উত্তম রং আর কার হতে পারে,

 আর আমরা কেবল আল্লাহরই ইবাদত করি। 

          —আল বাকারা - ১৩৮


✅আপনি বলে দিন, তোমরা কি আমাদের সাথে আল্লাহ সম্পর্কে তর্ক করছ? অথচ তিনিই আমাদের পালনকর্তা এবং তোমাদের ও পালনকর্তা। আমাদের জন্যে আমাদের কর্ম তোমাদের জন্যে তোমাদের কর্ম। এবং আমরা তাঁরই প্রতি একনিষ্ঠ।

          —আল বাকারা - ১৩৯


✅তোমরা কি বলছ যে, নিশ্চয়ই ইব্রাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকুব (আঃ) ও তাদের সন্তানগন ইহুদী অথবা খ্রীষ্টান ছিলেন? আপনি বলে দিন, তোমরা বেশী জান, না আল্লাহ বেশী জানেন।

          —আল বাকারা - ১৪০


✅তার চাইতে অত্যাচারী কে, যে আল্লাহর পক্ষ থেকে তার কাছে প্রমাণিত সাক্ষ্যকে গোপন করে? আল্লাহ তোমাদের কর্ম সম্পর্কে বেখবর নন। সে সম্প্রদায় অতীত হয়ে গেছে। তারা যা করেছে, তা তাদের জন্যে এবং তোমরা যা করছ, তা তোমাদের জন্যে। তাদের কর্ম সম্পর্কে তোমাদের জিজ্ঞেস করা হবে না।

          —আল বাকারা - ১৪১


✅অচিরেই নির্বোধ লোকেরা বলবে, সেটা কী জিনিস, যা মুসলিমদেরকে তাদের সেই কিবলা থেকে অন্য দিকে মুখ ফিরাতে উদ্বুদ্ধ করল, যার অভিমুখী তারা এ যাবৎ ছিল? আপনি বলে দিন, পূর্ব ও পশ্চিম সব আল্লাহরই। তিনি যাকে চান সরল পথের হিদায়াত দান করেন। 

          —আল বাকারা - ১৪২ 


✅হে মুসলিমগণ, এভাবেই আমি তোমাদেরকে এক মধ্যপন্থী উম্মত বানিয়েছি, যাতে তোমরা অন্যান্য লোক সম্পর্কে সাক্ষী হও এবং  রাসূল  হন  তোমাদের  পক্ষে সাক্ষী। পূর্বে তুমি যে কিবলার অনুসারী ছিলে, আমি তা অন্য কোনও কারণে নয়; বরং কেবল এ কারণেই স্থির করেছিলাম যে, আমি দেখতে চাই- কে রাসূলের আদেশ মানে আর কে তার পিছন দিকে ফিরে যায়, ১০০ সন্দেহ নেই এ বিষয়টা বড় কঠিন, তবে আল্লাহ যাদেরকে হিদায়াত দিয়েছেন, তাদের পক্ষে (মোটেই কঠিন) না। আর আল্লাহ এমন নন যে, তিনি তোমাদের ঈমান নিস্ফল করে দেবেন। বস্তুত আল্লাহ মানুষের প্রতি অতি মমতাবান, পরম দয়ালু।

—আল বাকারা - ১৪৩



✅সূরা আল বাকারার ১৪৩ নম্বর আয়াতের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, কিবলা পরিবর্তনের পূর্বে যারা মৃত্যবরণ করেছে তাদের ইমান ও নামায নস্ট হবে না। 


✅হে নবী, আমি তোমার চেহারাকে বারবার আকাশের দিকে উঠতে দেখছি। সুতরাং যে কিবলাকে তুমি পছন্দ কর আমি শীঘ্রই সে দিকে তোমাকে ফিরিয়ে দেব। ১০২ সুতরাং এবার মসজিদুল হারামের দিকে নিজের চেহারা ফেরাও। এবং ভবিষ্যতে তোমরা যেখানেই থাক, নামাজ আদায়কালে নিজের চেহারা সে দিকেই ফেরাবে। যাদেরকে কিতাব দেওয়া হয়েছে, তারা জানে এটাই সত্য, যা তাদের প্রতিপালকের পক্ষ হতে এসেছে। আর তারা যা-কিছু করছে আল্লাহ সে সম্বন্ধে বেখবর নন।

—আল বাকারা - ১৪৪ 


✅✅সূরা আল বাকারার ১৪৪ নম্বর আয়াতের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, রাসূল (সাঃ) মদীনায় অবস্থান কালে প্রথম প্রথম বাইতুল মুকাদ্দিসের দিকে তাকিয়ে নামায পড়তেন। এ সময় তিনি বারবার আকাশ পানে তাকাতেন। এ সময় তিনি বারবার আকাশের পানে তাকাতেন। তারপর আল্লাহ্‌ পাক মক্কার ঘরের দিকে মুখ করে নামায পড়ার নির্দেশ নাযিল করেন, এতে বিধর্মীরা বিরুপ মন্তব্য করলে উক্ত আয়াত নাযিল হয়। 

No comments

Powered by Blogger.