Header Ads

Header ADS

পার্ট - ০৩ || সূরাঃ আল বাকারা

 



✅আল্লাহ যে বাণী নাযিল করেছে তাতে ঈমান আন, যা আল্লাহ অবতীর্ণ করেছে সত্যবক্তা হিসেবে তোমাদের কাছে। তোমরা তার প্রথম অস্বীকারকারী হয়ো না। আর আল্লাহর আয়াতসমূহকে তুচ্ছ মূল্যের বিনিময়ে বিক্রি করো না। আর তোমাদের অন্তরে অন্য কারও নয়, তোমরা শুধু আল্লাহকেই ভয় কর।

          —আল বাকারা - ৪১ 


✅আল্লাহ বলেন, হে আদম সন্তান তোমরা সত্যকে মিথ্যার সঙ্গে মিশ্রিত করে না, আর জেনে-শুনে সত্য গোপন কর না।

          —আল বাকারা - ৪২ 


✅তোমরা নামায কায়েম কর, যাকাত দান কর এবং যারা নামাযে শরীক হয়, তাদের সাথে নামাযে শরীক হও।

          —আল বাকারা - ৪৩ 


✅তোমরা কি মানুষকে সৎকর্মের নির্দেশ দাও এবং নিজেরা নিজেদেরকে ভূলে যাও, অথচ তোমরা কুরআন তেলওয়াত কর, তবুও কি তোমরা চিন্তা কর না?

—আল বাকারা - ৪৪


✅সূরা আল বাকারার ৪৪ নম্বর আয়াতের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্নিত আছে, ইহুদী শাস্ত্রজ্ঞান আলেমরা তাদের আত্মীয়-স্বজন হতে যারা মুসলমান হয়েছিল তাদেরকে বলতে, 'তোমরা এই ধর্মে স্থির থাক, যেহেতু এটা সত্য ধর্ম।' অথচ তাঁরা নিজেরা তা গ্রহন করছিল না। তাই তাদের উদ্দেশ্য করে এই আয়াত অবতীর্ণ হয়।

যোগসূত্রঃ অত্র আয়াতে ইসলামী ধারা উপধারা কার্যকারি করার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করে উৎসাহ প্রদান করা হয়। কিন্তু এতে একটি সন্ধেহ ছিল যে, সম্ভবতঃ যাদেরকে লক্ষ্য করে বলা হয়েছে তাদের নিকট রাসূল (ﷺ)-এর নবুওয়াত ও রিসালাতের কোন জ্ঞানই নেই, অতএব, ইমানের অবর্তমানে তাঁরা সাব্যস্ত হয়ে থাকবে। তাই তাগিদ ও উৎসাহ প্রদানের পর এমন একটি বাক্য উল্লেখ করছেন যা দিয়ে এটা প্রতিবাদ হয়ে যায় যে, রাসূল (ﷺ) স্বীয় রিসালাতের দাবীতে সত্যবাদী হওয়ার জ্ঞান তাদের নিকট ছিল।


✅আল্লাহ বলেন, তোমরা ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর, আর অবশ্য তা যথেষ্ট কঠিন। তবে সেই সমস্ত লোকদের পক্ষে কঠিন নয় যারা বিনয়ী।

          —আল বাকারা - ৪৫ 


✅তারাই ধৈর্য এবং নামাজের মধ্যে দিয়ে সাহায্য প্রার্থনা করে, যারা বিশ্বাস করে যে, তাদের আল্লাহর সঙ্গে নিশ্চিতভাবে সাক্ষাৎকার ঘটবে এবং আল্লাহর দিকেই তাদেরকে ফিরে যেতে হবে।

          —আল বাকারা - ৪৬ 


✅বনী ইসরাঈলগণকে আল্লাহ সরণ করিয়ে দিচ্ছেন, হে বনী ইসরাঈলগণ! আমার সেই নি‘আমত স্মরণ কর, যা আমি তোমাদেরকে দান করেছিলাম এবং এটাও স্মরণ কর যে, আমি তোমাদেরকে সমগ্র বিশ্বে সবার উপরে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছিলাম।

          —আল বাকারা - ৪৭ 


✅আল্লাহ বলেন, সেই দিনকে ভয় কর, যে দিন কোনও ব্যক্তি কারও কোনও উপকারে আসবে না, কারও পক্ষ হতে কোনও সুপারিশ গ্রহণ হবে না, কারও থেকে কোনও রকম বিনিময় গ্রহণ করা হবে না এবং তাদের কোনও রকম সাহায্যও করা হবে না।

          —আল বাকারা - ৪৮ 


✅স্মরণ কর সেই সময়ের কথা, যখন আল্লাহ তোমাদেরকে মুক্তি দিয়েছিল, ফেরআউনের লোকদের কবল থেকে, যারা তোমাদেরকে কঠিন শাস্তি দিচ্ছিল, যারা তোমাদের পুত্রসন্তানদেরকে জবাই করতে এবং  তোমাদের মধ্যে যারা নারী ছিল তাদেরকে জীবিত রেখে তোমাদেরকে মর্মান্তিক যন্ত্রণা দিত, আর এই যাবতীয় পরিস্থিতিতে তোমাদের আল্লাহর পক্ষ হতে তোমাদের জন্য ছিল মহা পরীক্ষা।

—আল বাকারা - ৪৯


✅সূরা আল বাকারার ৪৯ নম্বর আয়াতের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, যখন বনী ইসরাইলরা হযরত মূসা (আঃ)- এর সঙ্গে মিসর ত্যাগ করে চলে যাচ্ছিল তখন ফিরাউন তাঁর দলবলসহ তাদের পিছনে ধাওয়া করে। পথে সাগর ছিল, আল্লাহর আদেশে সাগর দ্বিখণ্ডিত হয়ে যায়। মূসা (আঃ) বনী ইসরাঈলদের নিয়ে পার হয়ে যায়, কিন্তু ফিরাউন তাঁর দলবল সহ তাদের অনুসরন করতে গিয়ে ডুবে মারা যায়। 


✅স্মরণ কর তোমাদের দুঃসময়ের কথা, যখন আল্লাহ তোমাদের জন্য সাগরকে দ্বিখন্ডিত করেছিল, অতঃপর তোমাদেরকে বাঁচিয়ে দিয়েছিল এবং ডুবিয়ে দিয়েছি ফেরআউনের লোকদেরকে অথচ তোমরা তা দেখছিলে।

          —আল বাকারা - ৫০


✅আল্লাহ বলেন, যখন আমি মূসাকে চল্লিশ রাতের ওয়াদা দিয়েছিলাম। অতঃপর তোমরা মূসার অনুপস্থিতিতে বাছুরকে মাবূদ বানালে। অতঃপর  তোমরা তো ছিলো জালিম।

—আল বাকারা - ৫১


✅সূরা আল বাকারার ৫১ নম্বর আয়াতের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, বাছুরটি সামিরী নামক এক ব্যক্তি বানিয়েছিল। তাঁর প্ররোচনায় একটি অংশ বাছুরের পূজা করেছিল।

         

✅তোমরা মূসার অনুপস্থিতিতে বাছুরকে মাবূদ বানিয়ে পূজা করার পরে ও আল্লাহ তোমাদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছিল, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।

          —আল বাকারা - ৫২


✅আল্লাহ মূসাকে সত্য ও মিথ্যার মধ্যে পার্থক্য করার মাপকাঠি হিসেবে দিয়েছেন কিতাব, যাতে তোমরা হিদায়াতপ্রাপ্ত হও।

          —আল বাকারা - ৫৩


✅যখন মূসা নিজ সম্প্রদায়কে বলেছিল, হে আমার সম্প্রদায়! বাছুরকে উপাস্য বানিয়ে প্রকৃতপক্ষে তোমরা নিজেরা নিজেদের প্রতিই জুলুম করেছে। সুতরাং এখন আল্লাহর কাছে তওবা কর এবং নিজেরা নিজেদেরকে হত্যা কর। এটাই তোমাদের জন্য কল্যাণকর তোমাদের আল্লাহর নিকট। এভাবে আল্লাহ তাআলা তোমাদের তওবা কবুল করলেন। নিশ্চয় তিনিই অত্যন্ত ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু।

—আল বাকারা - ৫৪


✅সূরা আল বাকারার ৫৪ নম্বর আয়াতের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, যা সত্যকে মিথ্যা হতে পৃথক করে দেয় তাকে ফুরকান বলে।


✅যখন তোমরা বলেছিলে, হে মূসা! আমরা কিছুতেই তোমাকে বিশ্বাস করব না, যতক্ষণ না আল্লাহকে নিজেদের চোখে প্রকাশ্যে দেখতে পাব। এর পরিণামে বজ্র এসে তোমাদেরকে এমনভাবে পাকড়াও করল যে, তোমরা কেবল তাকিয়েই থাকলে।

          —আল বাকারা - ৫৫ 


✅অতঃপর আল্লাহ বললেন, আমি তোমাদেরকে তোমাদের মৃত্যুর পর নতুন জীবন দান করলাম, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে নাও।

          —আল বাকারা - ৫৬


✅আল্লাহ মেঘ দিয়ে তোমাদের ওপর ছায়া বিস্তার করলেন আর তোমাদের নিকট মান্না ও সাল্ওয়া প্রেরণ করলেন এবং তিনি বলেছিলেন, ‘তোমাদেরকে যে উত্তম জীবিকা দান করেছি তা হতে আহার কর। তারা ‘আমার প্রতি কোন জুলুম করে নাই, বরং তারা তাদের  নিজেদেরই ক্ষতি নিজেরাই সাধন করেছে।

—আল বাকারা - ৫৭


✅সূরা আল বাকারার ৫৭ নম্বর আয়াতের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, সিরিয়া রাজ্য হতে আমেলাদেরকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য ইসরাঈলীদের প্রতি তাদের সাথে যুদ্ধ করতে অস্বীকৃতি জানাল। আল্লাহ্‌র হুকুম অমান্য করায় তাদেরকে আল্লাহ্‌ তা'য়ালা তীহ্‌ প্রান্তরে শাস্তিস্বরূপ চল্লিশ বছর যাবত সন্তাপিত অবস্থায় ঘুরাতে থাকেন। যেহেতু প্রান্তরটি তৃণ লতাহীন ছায়া শূন্য একটি বিশাল মাঠ ছিল। তাঁরা হযরত মূসা (আঃ) এর নিকট তাদের জন্য আল্লাহ্‌র দরবারে দোয়া করতে বললে মূসা (আঃ) আল্লাহ্‌র নিকঠ দোয়া করেন। তখন আল্লাহ্‌ তা'য়ালা শ্বেত মেঘ দ্বারা তথায় ছায়া দান করলেন। আর ক্ষুধা নিবারনের জন্য বৃক্ষ হতে তরুঞ্জা বীন নামক এক ধরনের সুমিষ্ট বস্তু প্রচুর পরিমাণে উৎপন্ন করে দেন, তাঁরা ওগুলো একত্রিত করে রুটি পাচন করত, আর বটের নামক এক প্রকারের পাখি বিশেষ তাদের চতুস্পার্শ্বে সমাবেত হয়ে যেত, তাঁরা সেগুলোকে নির্বিঘ্নে ধরে নিত। এ সহজ সাধ্য খাদ্য আল্লাহ্‌ তায়ালা স্বীয় গায়েবী। 


✅যখন আল্লাহ বললেন, তোমরা প্রবেশ কর ঐ নগরীতে এবং এতে যেখানে খুশী খেয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে বিচরণ করতে থাক এবং দরজার ভিতর দিয়ে প্রবেশ করার সময় সেজদা করে ঢুক, আর বলতে থাক, আমাদেরকে ক্ষমা করে দাও, তাহলে আমি তোমাদের অপরাধ ক্ষমা করব এবং সৎ কর্মশীলদেরকে অতিরিক্ত দানও করব।

          —আল বাকারা - ৫৮ 


✅যালেমরা কথা পাল্টে দিয়েছে, যা কিছু তাদেরকে বলে দেয়া হয়েছিল তা থেকে। তারপর আমি অবতীর্ণ করেছি যালেমদের উপর আযাব, আসমান থেকে, নির্দেশ লংঘন করার কারণে।

          —আল বাকারা - ৫৯ 


✅স্মরণ কর সেই সময়ের কথা, যখন মূসা নিজ সম্প্রদায়ের জন্য পানি প্রার্থনা করল। তখন আল্লাহ মূসাকে বললেন, তোমার লাঠি দ্বারা পাথরে আঘাত কর। সুতরাং তা থেকে বারটি প্রস্রবণ প্রবাহিত হল। প্রত্যেক গোত্র নিজ পানি গ্রহণের স্থান জেনে নিল। আল্লাহ বললেন, প্রদত্ত রিযক খাও এবং পান করো এবং পৃথিবীতে অশান্তি বিস্তার করো না।

          —আল বাকারা - ৬০ 


✅যখন তোমরা বলেছিলে, হে মূসা, আমরা একই ধরনের খাদ্য দ্রব্যে কখনও ধৈর্য্যধারণ করব না। কাজেই তুমি তোমার আল্লাহর নিকট আমাদের পক্ষে প্রার্থনা কর, তিনি যেন আমাদের জন্যে এমন বস্তুসামগ্রী দান করেন যা জমিতে উৎপন্ন হয়, যেমন: তরকারী, কাকড়ী, গম, মসুরি, পেঁয়াজ প্রভৃতি। মূসা (আঃ) বললেন, তোমরা কি উৎকৃষ্টতর বস্তুকে নিকৃষ্টতর বস্তুর সঙ্গে বদল করতে চাও, তবে কোন নগরীতে অবতরণ কর। তোমরা যা চাও নিশ্চয়ই তা সেখানে আছে। তারা লাঞ্ছনা ও দারিদ্র্যগ্রস্ত হল আর তারা আল্লাহর ক্রোধের পাত্র হল। এটা এইজন্যে যে, তারা আল্লাহর আয়াতকে অস্বীকার করত আর নবীগণকে অন্যায়ভাবে হত্যা করত। অবাধ্যতা ও সীমালংঘন করার জন্যেই তাদের এই পরিণতি হয়েছিল।

          —আল বাকারা - ৬১ 


✅মুসলিম হোক বা ইয়াহুদী হোক, খ্রিস্টান হোক বা নাসারা হোক, বা সাবেঈন হোক যে-কেউ আল্লাহ ও আখিরাত দিবসের প্রতি ঈমান আনবে এবং সৎকর্ম করবে, তারা আল্লাহর নিকট নিজ প্রতিদানের উপযুক্ত হবে এবং তাদের কোনও ভয় থাকবে না আর তারা দুঃখী ও হবে না।

—আল বাকারা - ৬২


✅সূরা আল বাকারার ৬২ নম্বর আয়াতের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, সাবেঈনরা ছিল নক্ষত্র ও ফেরেশতাদের পূজারী । 


✅আল্লাহ যখন তোমাদের কাছ থেকে অঙ্গীকার নিয়েছিলেন এবং তুর পর্বতকে তোমাদের মাথার উপর তুলে ধরেছিলেন এই বলে যে, তোমাদেরকে যে কিতাব দেয়া হয়েছে তাকে ধর শক্ত করে এবং এতে যা কিছু রয়েছে তা মনে রেখো যাতে তোমরা ভয় কর।

—আল বাকারা - ৬৩


✅সূরা আল বাকারার ৬৩ নম্বর আয়াতের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, বনী ইসরাঈল যখন তাওরাত মানতে অস্বীকার করল আল্লাহ্‌ তখন তাদের উপর তুর পাহাড় ধরলেন তাঁরা ধ্বংস হওয়ার ভয়ে তা গ্রহন করে নেয়। 


✅তাওরাত অস্বীকার করলে আল্লাহ তোমাদের মাথায় তুর পাহাড় ধলে তোমরা ধ্বংস হওয়ার ভয়ে তাওরাত মেনে নিয়েছিলে কিন্তু তারপরে ও পরর্বতীতে তোমরা সঠিক পথ থেকে মুখ ফিরিয়ে ফিরে নিলে। কাজেই আল্লাহর অনুগ্রহ ও মেহেরবানী যদি তোমাদের উপর না থাকত, তবে অবশ্যই তোমরা ধবংস হয়ে যেতে।

          —আল বাকারা - ৬৪ 


✅তোমাদের মধ্যে যারা শনিবার সম্পর্কে সীমালংঘন করেছিল তাদেরকে তোমরা নিশ্চিতভাবে জান। আল্লাহ তাদের বলেছিলেন, তোমরা ঘৃণিত বানর হয়ে যাও। 

—আল বাকারা - ৬৫


✅সূরা আল বাকারার ৬৫ নম্বর আয়াতের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, হযরত দাউদ (আঃ)-এর সময় এ ঘটনা সংগঠিত হয়েছিল। তখন শনিবারে মাছ ধরাসহ দুনিয়াবি সকল কাজকর্ম নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু তাঁরা আল্লাহ্‌র আদেশ লংঘন করে মাছ শিকার করেছিল, তাই আল্লাহ্‌ তাদের শাস্তি হিসাবে বানর বানিয়ে দিয়েছিলেন।


✅শনিবারে মাছ ধরাসহ দুনিয়াবি সকল কাজকর্ম নিষিদ্ধ ছিল। আল্লাহর আদেশ লংঘন করার জন্য আল্লাহ শাস্তি হিসাবে বানর বানিয়ে দিয়েছিলেন, আল্লাহ এ ঘটনাকে সেই কালের ও তার পরবর্তী কালের লোকদের জন্য দৃষ্টান্তমূলক শিক্ষা এবং যারা ভয় করে তাদের জন্য উপদেশ গ্রহণের মাধ্যমে বানিয়ে দিয়েছেন।

          —আল বাকারা - ৬৬


✅যখন মূসা (আঃ) তার সম্প্রদায়কে বললেন, আল্লাহ তোমাদের একটি গরু জবাই করতে বলেছেন। তারা বলল, তুমি কি আমাদের সাথে ঠাট্টা করছ? মূসা (আঃ) বললেন, মূর্খদের অন্তর্ভুক্ত হওয়া থেকে আমি আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।

—আল বাকারা - ৬৭


✅সূরা আল বাকারার ৬৭ নম্বর আয়াতের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, বনি ইসরাঈলের এক লোক অপর এক লোকের মেয়ে বিয়ে করার প্রস্তাব দিলে সে তা প্রত্যাখ্যান করে। ফলে প্রস্তাবকারী তাকে হত্যা করে। বনি ইসরাঈলীরা হত্যাকারীর সন্ধান না পেয়ে মূসা (আঃ)- এর নিকট উক্ত হত্যার তদন্ত দাবী করল। মূসা (আঃ) আল্লাহ্‌র আদেশ অনুযায়ী একটি গরু জবাই করতে বলেন..................... বাদ বাকী ঘটনা কোরআনেই উল্লেখ আছে। এঘটনা উল্লেখ করে তাদের স্বভাব গত কূটতাত্ত্বিক হওয়ার কথা বর্ননা করেছেন। হাদীস শরীফে আছে তাঁরা এত বাড়াবাড়ি না করে আদেশ মাত্র যে কোন একটি গরু জবাই করত, তবে এত কঠিন শর্তগুলো তাদের ওপর আরোপ করা হত না। 


✅বনি ইসরাঈলগণ মূসা (আঃ) কে বললো, আপনি আপনার আল্লাহর কাছে আমাদের জন্য প্রার্থনা করুন, তিনি যেন আমাদেরকে স্পষ্ট করে বলে দেন, সেই গরুটি কেমন হবে। মূসা (আঃ) বললো, আল্লাহ বলছেন, সেটি অতি বয়স্ক ও হবে না এবং অতি বাচ্চাও নয়, বরং উভয়ের মাঝামাঝি হবে। সুতরাং তোমাদেরকে যে আদেশ করা হয়েছে তা এখন পালন কর।

          —আল বাকারা - ৬৮


✅বনি ইসরাঈলগণ মূসা (আঃ) কে বললো, আপনি আপনার আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করুন, তিনি যেন আমাদেরকে স্পষ্ট করে বলে দেন, গরুর রং কী হবে? মূসা (আঃ) বলল, আল্লাহ বলছেন, তা এমন গাঢ় হলুদ বর্ণের হবে, যা দর্শকদের মুগ্ধ করে দেয়।

          —আল বাকারা - ৬৯ 


✅বনী ইসরাঈলগণ আবারও বলল, মূসা (আঃ) কে আপনি আপনার আল্লাহর কাছে আবেদন করুন, তিনি যেন আমাদেরকে স্পষ্ট করে দেন, সেই গরুটি  কেমন হবে? গরুটি তো আমাদেরকে সন্দেহে ফেলে দিয়েছে। আল্লাহ চাইলে আমরা অবশ্যই সেটির দিশা পেয়ে যাব।

          —আল বাকারা - ৭০ 


✅মূসা (আঃ) বলল, আল্লাহ বলছেন, এটা এমন এক গরু যা জমি চাষে ও ক্ষেতে পানি সেচের জন্যে ব্যবহৃত হয় নাই। সম্পূর্ণ সুস্থ, যাতে কোনও দাগ নেই। বনী ইসরাঈলীরা বলল, হ্যাঁ এবার আপনি সঠিক তথ্য এনেছ। যদিও তারা জবাই করতে ইচ্ছা পেষণ করছিল না, তবুও তারা গরুটিকে জবাই করল।

          —আল বাকারা - ৭১ 


✅মূসা (আঃ) যখন বনী ইসরাঈলীদের বললেন, যখন তোমরা এক ব্যক্তিকে হত্যা করেছিলে, তারপর তোমরা তার ব্যাপারে একে অন্যের উপর দোষ চাপাচ্ছিলে। আর তোমরা যা গোপন করছিলে সেই রহস্য প্রকাশ করাই ছিল আল্লাহর অভিপ্রায়।

          —আল বাকারা - ৭২ 


✅অতঃপর মূসা (আঃ) বললেন, বনী ইসরাঈলীর লোক যাকে হত্যা করেছিল তাকে গরুর একটা অংশ দ্বারা আঘাত কর। এইভাবে আল্লাহ্ মৃতকে জীবিত করেন এবং তাঁর নিদর্শন তোমাদেরকে দেখিয়ে থাকেন, যাতে তোমরা অনুধাবন করতে পার।

          —আল বাকারা - ৭৩ 


✅বনী ইসরাঈলীদের হত্যা করা লোককে গরুর একটা অংশ দ্বারা আঘাত করলে আল্লাহর ইশারায় মৃত জীবিত হয়ে গিয়েছিল এবং তার পর তোমাদের মধ্যে কিছু দিন আল্লাহর ভীতি ছিল, পরবর্তীতে তোমাদের অন্তর আবারও শক্ত হয়ে গেল, এমনকি তা হয়ে গেল পাথরের মত; বরং তার চেয়েও বেশি শক্ত। কেননা পাথরের মধ্যে কিছু তো এমনও আছে, যা থেকে নদী-নালা প্রবাহিত হয়, তার মধ্যে কিছু এমন আছে যা ফেটে যায় এবং তা থেকে পানি নির্গত হয়, আবার তার মধ্যে এমন পাথর ও আছে, যা আল্লাহর ভয়ে ধ্বসে পড়ে।  আর এর বিপরীতে তোমরা যা কর, আল্লাহ তোমাদের কাজকর্ম সম্পর্কে বে-খবর নন।

—আল বাকারা - ৭৪ 


✅সূরা আল বাকারার ৭৪ নম্বর আয়াতের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, তোমাদের অন্তর কঠিন হয়ে গেছে এই আয়াতটিতে আল্লাহ তা'য়ালা কাফেরদের মনকে পাথর অপেক্ষাও কঠিন বলে অভিহিত করেছেন। কারন, এরূপ পাথরও আছে- যা থেকে সুশীতল পানি নির্গত হয় এবং কোন কোন পাথর হতে সুমিষ্ট পানি নির্গত হয়। কিন্তু কাফেরদের হৃদয় হতে জ্ঞান বা করুণার ধারা নির্গত হয় না এবং অন্য স্থান হতেও তাদের অন্তরে প্রবেশ করে না। পক্ষান্তরে ইমানদারের হৃদয় হতে জ্ঞান ও করুণার ধারা নির্গত হয়ে জগদ্বাসীকে শান্তি ও স্নেহ-করুণা বিলায়।

          

✅হে মুসলমানগণ, তোমরা কি আশা কর যে, কাফেরেরা তোমাদের কথায় ঈমান আনবে? তাদের মধ্যে একদল ছিল, যারা আল্লাহর বাণী শুনত, অতঃপর বুঝে-শুনে তা পরিবর্তন করে দিত।

          —আল বাকারা - ৭৫

          

✅কাফেরেরা যখন মুসলমানদের সাথে মিলিত হয়, তখন তারা বলে, আমরা মুসলমান হয়েছি। আর যখন তারা পরস্পরের সাথে নিভৃতে অবস্থান করে, তখন তারা বলে, আল্লাহ তোমাদের জন্যে যা প্রকাশ করেছেন, তা কি তাদের কাছে বলে দিচ্ছ? তাহলে যে তারা এ নিয়ে আল্লাহর সামনে তোমাদেরকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করবে। তোমরা কি তা উপলব্ধি কর না?

          —আল বাকারা - ৭৬ 

 

✅কাফেরেরা কি এতটুকুও জানে না যে, তারা যে সব কথা গোপন করে ও যা প্রকাশ করে সবই আল্লাহ জানেন?

          —আল বাকারা - ৭৭


✅কাফেরদের মধ্যে কিছু লোক আছে নিরক্ষর, যারা আল্লাহর কিতাবের কোনও জ্ঞান তো রাখেই না, তবে কিছু আশা-আকাঙ্ক্ষা পুষে রেখেছে। তারা কেবল অমূলক ধারণাই করে।

          —আল বাকারা - ৭৮


✅সুতরাং ধ্বংস সেই সকল লোকের জন্য, যারা নিজ হাতে কিতাব লেখে, তারপর মানুষকে বলে এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে, যাতে তার মাধ্যমে কিঞ্চিত আয় পরিমাণ রোজগার করতে পারে। সুতরাং তাদের হাত যা রচনা করেছে সে কারণেও তাদের জন্য ধ্বংস এবং তারা যা উপার্জন করেছে, সে কারণেও তাদের জন্য ধ্বংস।

—আল বাকারা - ৭৯


✅সূরা আল বাকারার ৭৯ নম্বর আয়াতের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, হযরত আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্নিত, তওরাত কিতাবে হুজুরে পাক ﷺ-এর এরূপ বর্ণনা দেয়া হয়েছে যে, তাঁর নয়ন যুগল হবে ডাগর, যেন সুরমা লাগানো রয়েছে, আর তাঁর উচ্চতা হবে মাঝারি। কেশরাশি হবে হালকা কোঁকড়ানো আর চেহারা মোবারক হবে সুন্দর। অথচ ইহুদী সম্প্রদায় ক্রোধের বশবর্তী হয়ে তাঁর অত্র গুন সমূহ বিকৃত করে প্রচার করতে লাগলে যে, আমাদের  কিতাবে বলা হয়েছে, তিনি লম্বা ও নীল চক্ষু বিশিষ্ট আর তাঁর চুল হবে সোজা। তাদের এহেন অসৌজন্য মূলক আচরন সম্পর্কে আল্লাহ্‌ পাক এ আয়াত অবতীর্ন করেন। 


✅ইহুদিরা বলে, ‘দিনকতক ব্যতীত অগ্নি আমাদেরকে কখনও স্পর্শ করবে না।’ বল, ‘তোমরা কি আল্লাহ্ র নিকট হতে অঙ্গীকার নিয়েছ; কাজেই আল্লাহ্ তাঁর অঙ্গীকার কখনও ভঙ্গ করবেন না কিংবা আল্লাহ্ সম্বন্ধে এমন কিছু বলছ যা তোমরা জান না। 

          —আল বাকারা - ৮০


✅আগুন তোমাদেরকে কেন স্পর্শ করবে না, অবশ্যই স্পর্শ করবে, যেসব লোক পাপ কামায় এবং তার পাপ তাকে বেষ্টন করে ফেলে, তারাই জাহান্নামবাসী। তারা চিরকাল সেখানে থাকবে।

—আল বাকারা - ৮১ 



✅সূরা আল বাকারার ৮১ নম্বর আয়াতের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, হযরত আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্নিত আছে,  হুজুরে পাক ﷺ- যখন মদীনায় আসলেন, তখন ইহুদীরা বলেছিল যে, পৃথিবীর বয়স সাত হাজার বছর এবং এর এক হাজার বছর আখেরাতের এক দ্বীনের সমান সুতারাং আমরা জাহান্নামের আযাব ভোগ করলেও এক সপ্তাহকাল ভোগ করব। (কেননা অপরাধের সময় অনুপাতে শাস্তি হবে আর মোট অপরাধের সময় দুনিয়ার বয়স সমসাময়িক হলেও তা সাত দ্বীনের বেশি হতে পারে না। তখন উক্তি আয়াত অবতীর্ণ হয়। হযরত আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্নিত অপর এক বর্ননায় আছে যে, ইহুদীরা বলত, আমরা কেবল চল্লিশ দিন শাস্তি ভোগ করব, কেননা, আমরা বাছুর পুজা করেছি ততদিন। এই কিছুদিন শাস্তি ভোগের পর তাঁরা অনন্ত সুখ শান্তিতে বসবাস করার বিশ্বাস পোষণ করত। কেননা, তাদের ধারনা অনুযায়ী দ্বীনে মুসবী চিরস্থায়ী। এটা কখনও রহিত হবে না। তাই তাঁরা এখন ইমানদার আর ইমানদারের শাস্তি চিরস্থায়ী হয় না। কিন্তু তাদের এ ধারনা সম্পূর্নই ভুল অবাস্তব। দ্বীনে মুহাম্মাদী অন্যান্য সকল দ্বীনকে রহিত করে দিয়েছে সুতরাং যারা এ দ্বীনে ইমান আনে তাঁরা ইমানদার, নতুবা কাফের। তাঁরা অনন্তকাল জাহান্নামে জ্বলবে। 


✅যে সব লোক ঈমান এনেছে এবং সৎকাজ করেছে, তারাই জান্নাতের অধিবাসী। তারা সেখানেই চিরকাল থাকবে।

          —আল বাকারা - ৮২


 ✅যখন আমি বনী ইসরাঈলের থেকে প্রতিশ্রুতি নিয়েছিলাম যে, তোমরা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও ইবাদত করবে না, পিতা-মাতার সাথে ভালো ব্যবহার করবে এবং আত্মীয়-স্বজন, ইয়াতীম ও মিসকীনদের সাথেও। আর মানুষের সাথে ভালো কথা বলবে, নামাজ কায়েম করবে ও যাকাত দিবে। কিন্তু পরে তোমাদের মধ্য হতে অল্প কিছু লোক ছাড়া বাকি সকলে সেই প্রতিশ্রুতি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলে।

          —আল বাকারা - ৮৩

 

 ✅যখন আমি তোমাদের থেকে প্রতিশ্রুতি নিয়েছিলাম যে, তোমরা একজন অন্যজনের রক্ত ঝরাবে না এবং আপন লোকদেরকে নিজেদের ঘর-বাড়ি থেকে বহিষ্কার করবে না। অতঃপর তোমরা তা স্বীকার করেছিলে এবং তোমরা নিজেরা তার সাক্ষী।

          —আল বাকারা - ৮৪


✅তোমরাই সেই লোক, যারা আপন লোকদেরকে হত্যা করেছে এবং নিজেদেরই মধ্য হতে কিছু লোককে তাদের ঘর-বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে এবং পাপ ও সীমালংঘনে লিপ্ত হয়ে তাদের বিরুদ্ধে তাদের শত্রুদের সাহায্য করেছে। তারা যদি শত্রুদের হাতে বন্দী হয়ে তোমাদের কাছে আসে, তবে তোমরা মুক্তিপণ দিয়ে তাদেরকে ছাড়িয়ে নাও। অথচ তাদেরকে ঘর-বাড়ি হতে বের করাই তোমাদের জন্য হারাম ছিল। তবে কি তোমরা তাওরাত কিতাবের কিছু অংশে ঈমান রাখ এবং কিছু অংশ অস্বীকার কর? তাহলে বল, তোমাদের মধ্যে যারা এরূপ করে তাদের শাস্তি এ ছাড়া আর কী হতে পারে যে, পার্থিব জীবনে তাদের জন্য থাকবে লাঞ্ছনা আর কিয়ামতের দিন তাদেরকে নিয়ে যাওয়া হবে কঠিনতর আযাবের দিকে? তোমরা যা-কিছু কর আল্লাহ সে সম্পর্কে  বে-খবর নন।

          —আল বাকারা - ৮৫

          

✅এরাই তারা, যারা আখিরাতের বিনিময়ে পার্থিব জীবনকে ক্রয় করে নিয়েছে। সুতরাং তাদের শাস্তি কিছুমাত্র লাঘব করা হবে না এবং তাদেরকে সাহায্যও করা হবে না।

          —আল বাকারা - ৮৬ 


✅নিশ্চয়ই আল্লাহ মূসাকে কিতাব দিয়েছেন এবং তার পরে পর্যায়ক্রমে রাসূলগণকে পাঠিয়েছেন, আর মারয়ামের পুত্র ঈসাকে সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলী দিয়েছেন এবং রুহুল কুদসের মাধ্যমে তাকে শক্তিশালী করেছেন। অতঃপর এটা কেমন আচরণ যে, যখনই কোনও রাসূল তোমাদের কাছে এমন কোন বিষয় নিয়ে উপস্থিত হয়েছে, যা তোমাদের মনের চাহিদা সম্মত নয়, তখনই তোমরা দম্ভ দেখিয়েছে? অতএব কতক (নবী)-কে তোমরা মিথ্যাবাদী বলেছে এবং কতককে হত্যা করছ।

—আল বাকারা - ৮৭ 


✅সূরা আল বাকারার ৮৭ নম্বর আয়াতের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, পবিত্র কোরআনের বিভিন্ন স্থানে জিবরাঈল (আঃ)- কেই রুহুল কুদুস বলে অভিহিত করা হয়েছে। আর তাঁর দ্বারা হযরত ঈসা (আঃ)-কে কয়েক প্রকারে সাহায্য করা হয়। একঃ জন্মলগ্নে শয়তান হতে যেন মুক্ত থাকেন সেই সাহায্য।  দুইঃ তাঁরই ফুঁকে হযরত ঈসা (আঃ) মাতৃ উদরে আবির্ভুত হন। (তিন) অধিকাংশ ইহুদী তাঁর শত্রু ছিল, তাই হযরত জিবরাঈল (আঃ) তাঁর রক্ষানাবেক্ষনের জন্য সঙ্গে থাকতেন এবং পরিশেষে তাঁর মাধ্যমেই আকাশে উত্তোলিত হন। আর ইয়াহুদীরা বহু নবীকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে এমনকি হজরত ঈসা (আঃ)- কেও হত্যা করতে চেয়েছিল এবং হযরত ইয়াহইয়া (আঃ)-কে তো হত্যাই করে ফেলেছে। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) ও ছায়ীদ ইবনে জোবাইর (রাঃ) বলেন, রুহুল কুদ্দুস অর্থ ইছমে আযম, যার দ্বারা তিনি মৃতদের জীবিত করতেন।

          

✅তারা বলেছিল, ‘আমাদের হৃদয় আচ্ছাদিত’, বরং কুফরীর জন্যে আল্লাহ্ তাদেরকে লা‘নত করেছেন। সুতরাং তাদের অল্পসংখ্যকই ঈমান আনে।

     —আল বাকারা - ৮৮ 


✅যখন তাদের নিকট আল্লাহর পক্ষ হতে এমন কিতাব কুরআন আসল, যা তাদের কাছে পূর্ব থেকে যা আছে, তারা তাওরাতের সমর্থন করত।  যদিও পূর্বে এরা কাফিরদের  বিরুদ্ধে আল্লাহর কাছে বিজয় প্রার্থনা করত, কিন্তু  যখন  সেই  জিনিস  আসল, যাকে তারা চিনতে পেরেছিল, তখন তাকে অস্বীকার করে বসল। সুতরাং এমন কাফিরদের প্রতি আল্লাহর লানত।

          —আল বাকারা - ৮৯ 


✅কতই না নিকৃষ্ট সেই মূল্য, যার বিনিময়ে তারা নিজেদের আত্মাকে বিক্রি করেছে।  তা খুবই মন্দ; যেহেতু তারা আল্লাহ যা নযিল করেছেন, তা অস্বীকার করেছে এই হঠকারিতার দরুন যে, আল্লাহ স্বীয় বান্দাদের মধ্যে যার প্রতি ইচ্ছা অনুগ্রহ নাযিল করেন। অতএব, তারা গযবের উপর গযব অর্জন করেছে। আর কাফেরদের জন্য রয়েছে অপমানজনক শাস্তি।

          —আল বাকারা - ৯০

No comments

Powered by Blogger.